ছোট বেলার স্বপ্নে আঁকা, এক ইস্পাতের ক্যানভাস,  
প্রকৌশলী হবো, গড়বো ভবিষ্যতের এক বিশাল আকাশ।  
খেলনায় লুকিয়ে ছিল যন্ত্রের প্রতি মায়া,  
বাবার হাতে ধরে শিখেছি সৃষ্টির অদম্য ছায়া।  

পুর প্রকৌশলী গড়েন ভবনের মজবুত প্রাচীর,  
পুল আর সেতুতে তাঁর চিন্তার বহিঃ প্রকাশ,বিস্তার।  
মাটির বুকে ইমারতের কাঠামো তিনি আঁকেন,  
তার স্বপ্নে গড়া শহর, যেখানে মানুষ আশ্রয় খোঁজেন।  

কম্পিউটার প্রকৌশলী কোডের ভাষায় লিখে যায় গল্প,  
প্রতিটি অ্যাপ আর সিস্টেমে সে আনে নতুন সুরের তল্প।  
তথ্য প্রযুক্তির জগতে সে আলো ছড়ায়,  
বিশ্ব কে একটি ছোট্ট স্ক্রিনে বন্দি করে আনে নতুন আবায়।

যান্ত্রিক প্রকৌশলী গড়েন যন্ত্রের পরতে পরতে,  
কল আর গাড়ির গতি তার মেধার ছোঁয়ায় চলে।  
বৃহৎ মেশিন থেকে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশে তাঁর মনন,  
উৎপাদনের পথ সুগম করে, গড়েন জাতির ভবিষ্যৎ ভরণপোষণ।

তড়িৎ প্রকৌশলী আলোর প্রবাহে আনেন নিত্য নতুন উপকরণ,  
পাওয়ার প্ল্যান্টে, গ্রিডে তার নকশার সমুদয় উপকৃতি।  
শক্তির সঞ্চালনে তাঁর চিন্তা, তাঁর প্রজ্ঞা,  
বিশ্বের ঘরে ঘরে আলো ছড়িয়ে দেন পরম তৃষ্ণা।

কঠিন গণিত আর বিজ্ঞানের ধাঁধায় কাটে তাঁদের রাত,  
স্বপ্নের পথে সংগ্রাম করে কাটাতে হয় কতো শত।  
ক্যাম্পাসের উঠোনে, রাতের ঘুম ত্যাগ,  
আজ প্রতিটি প্রকল্পে তাঁদের জয়ের গুণগান।

প্রথম কর্ম দিবসে আঁকলেন পরিকল্পনার রেখা,  
মনে হলো, এ যেন স্বপ্ন পূরণের সোনার হরিণের দেখা।  
প্রতিটি প্রকল্পে মিশে থাকে তাঁদের ঘাম,  
নগরীর কাঠামোতে লেগে থাকে তাঁদের পথ চলার নাম।

রাত গভীর হলে অফিস থেকে ফিরেন চুপিসারে,  
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় তাঁরা দেখেন ঘামে মোড়া মুখটা রে।  
তবু মনে হয়, এটাই তাঁদের অর্জন,  
এই তাঁদের সাধনা, এই তাঁদের কাব্যের সন্ধান।

মানুষের সেবায় কাটে তাঁদের জীবন,  
প্রতিটি স্থাপনায় তাঁরা ছড়ান উদ্ভাসন।  
তাঁরা প্রকৌশলী, নির্মাণের কারিগর,  
এই পথচলায় গর্বিত তাঁরা, অদম্য পথিক অমর।  

প্রযুক্তি, নির্মাণ, সেবা—এই তাঁদের লালিত নীতি,  
প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে আছে তাঁদের সফলতার গীতি।  
আধুনিক পৃথিবীকে গড়ায় তাঁদের এই ঐক্য,  
বিশ্বের অগণিত স্বপ্নে তাঁরা আনে নিত্য-নতুন বাক্য।