তিনটে চাকরি করে, তবু হাসি লেগে থাকে মুখে,
সকালের সূর্যে পত্রিকা হাতে ছুটে যায় সবার দিকে।
ফল নিয়ে বসে বিকেলের রোদে,
চায়ের বয় হয়ে ঘাম ঝরে তবু দাঁড়িয়ে পথে।

অসুস্থ বাবা-মায়ের চোখে স্বপ্নের জ্বালা,
ঔষধ আর খাবারে পূরণ হয় তাদেরই মরার পালা।
নিজের ক্ষুধা তুচ্ছ, সবার আগে তারা,
এমন মানবতায় কীভাবে ভরে তার মনধারা?

রাত নামে, তবু থামে না তার পথচলা,
নয়টায় বইখাতা হাতে স্কুলে দেয় চলা।
ভালো কাপড় পরে দাঁড়ায় শিক্ষার মঞ্চে,
ভেজা চোখে স্বপ্ন আঁকে ,লিখে রাখে কল্পনা।

এই যে ছোট্ট বয়সেই জীবনটা কঠিন,
তবু তার হাসি যেন আলোর মত মসৃণ।
ক্লান্তি তাকে ছোঁয় না, দুঃখ তার শত্রু নয়,
সে সুপারম্যান, তার লড়াই অন্তহীন রয়ে যায়।

আমরা কি দেখি তার গল্পে লুকানো জ্বলন?
নাকি শুধু করি তার হাতের ঘামের স্বরণ?
তবু সে জ্বলে, অন্যের জন্য আপনাকে বিলায়,
আমার দেখা একজন সুপারম্যান সে,নাম তার হৃদয়।