আকাশে উড়ে ড্রোন, এক নতুন বিস্ময়,
যান্ত্রিক ডানায় ভর করে, জাগায় মুগ্ধতার প্রলয়।
নয় তো কোনো পাখি, নয় তো মানুষও,
তবু সে পাড়ি দেয়, দিগন্তের পানে, মৃদু অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে।

কেমন করে উড়ে ড্রোনের ভেলা?
রিমোটের আদেশে, সেন্সরের যাদুতে,
জিপিএস আর ক্যামেরায় বাঁধা তার গন্তব্যর বাঁধন।
বাতাসের বুকে ভেসে, তুলে আনে ছবি,
দূরের সব দৃশ্য এনে দেয় সন্নিকটে।

উপকারিতায় ড্রোন—মানবতার সাথী;
পাহাড়ের চূড়ায়, নদীর কোণে ছুটে চলে অনায়াসে,
খাবার আর ওষুধ পৌঁছে দেয় যেখানে, চেনেনি কোনো পথ আগে।
সীমান্ত পাহারায়, কৃষকের ক্ষেতে,
দেখে প্রকৃতির সৌন্দর্য, সবুজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে।

প্রযুক্তির জাদুতে গড়া ড্রোন
গাইরোস্কোপ, অ্যাক্সিলোমিটার, সেন্সরের ছোঁয়া,
ক্যামেরা আর লিডার, বুদ্ধিমত্তার ঝলক, তাতে আর্টিফিশিয়াল মায়া।
জিপিএসের সূক্ষ্ম বাঁধনে, ওয়াইফাইয়ের সংযোগে,
সবাই মিলে গড়ে তুলে, অদম্য প্রযুক্তির অভয়ারণ্য।

তবে কিছু শঙ্কাও লুকায়
গোপনীয়তার সীমা হারায়, ড্রোন যখন ঘিরে রাখে চারপাশ,
নজরদারির ভয় তাড়া করে, মানুষ থাকে নিজ খাঁচায় কপাট বন্ধ করে।
বিস্ফোরণের ঝুঁকিও বাড়ে, নিরাপত্তার দেয়ালে ফাটল ধরায়,
অবিশ্বাসের ছায়া মেলে সমাজে ভয় আর শঙ্কার প্রলাপ শোনা যায়।

আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?
ড্রোনের ডানায় তুলে আনো শান্তির বার্তা, মানবতার সেবা,
শুদ্ধ প্রয়োগে ড্রোন হোক ভবিষ্যতের আলোর আলোড়ন।
অন্ধকার পথে নামলে, বিপদই হবে সাথী,এই ঈগল যেন তেমন হয়;
তবু সম্ভাবনার ড্রোন, নতুন দিনের আগাম বার্তা বয়ে আনুক।