আমি ঘুমের ঘরে বকেছি এসব,
স্বপ্নের চাদরে জড়ানো এক বাঙালি হয়ে ,
যার রক্তে বাংলা,
যার গানে শ্যামল মাটি,
যার শিকড়ে শত নদী।
কিন্তু হায়!
আমাদের কালো রাতে বাজে বিদেশি তামাশার সুর,
বেজে ওঠে মাতাল গানের বেহায়া শব্দ,
থার্টি ফার্স্টের আলোয় ঢেকে যায় সংস্কৃতি,
পুড়ে যায় পিঠে পুলি, মুছে যায় ভাদ্র মাসের গল্প।
আমি বলেছি,
কেন এই অপসংস্কৃতির দাসত্ব?
কেন বিকিয়ে দেই আমাদের শেকড়,
আমাদের কবিগুরুর গান, বিদ্রোহের মান,
লালন, আর বাউলের তান,কি পুরিয়েছে?
ঘুমের ভেতর চিৎকার করেছি,
আমাদের চন্দ্র-সুরুজের স্নিগ্ধ আলোয়,
যেখানে কবিতা জন্ম নেয়,
তাকে তুচ্ছ করে কেন এই
আলো ঝলমলে নকল পৃথিবীর জয়গান?
আমি বাঙালি,
আমার বিদ্রোহ রক্তে জ্বলে,
আমার প্রতিবাদ থার্টি ফার্স্টের বিরুদ্ধে কি?
সংস্কৃতির মাটি পোড়ানো গন্ধে,
নির্লজ্জ আনন্দের বিরুদ্ধে।
আমি বলেছি,
থার্টি ফার্স্ট মানে নয় বেহায়াপনা,
নয় মদ, নয় মত্ততা,
এটা হতে পারে নতুন বছরকে বরণ,
নয় তো পাখিদের আত্মা হরন,
নয় কোন জানোয়ারের নিদ্রা হরন,
নিজের শেকড়ে নতুন রোদ্দুরের আশা।
তবে শুনুক বাঙালি,
আমি ঘুমের ঘরে করছি বিদ্রোহ,
জাগো! ফিরে আসো মাটির ঘ্রাণে,
তোমরা শুনেছো কি? আমি তো বকছি ঘুমের ঘরে।