রোজার বাতাস বয়ে যায় সেহরি রাতের প্রহরে
স্পন্দনে জাগে সোনালি আশাগুলি-
প্রাতে ঊষার গগন ডাকে পাখিদের সাথে
-মসজিদের মুয়াজ্জীন
উঠো – উঠো হে মুসলিম ভাই বোনেরা
সময় হয়েছে বুঝি-
মালিকের হুকুম পালন করো
-দুনিয়াবি - আখেরাতের নেকহাসিল করো
এইভাবেই প্রতিদিন ডাকে আকুলের ছলে
-গভীর ভাবনায়
কিছুক্ষণ পর ফজরের আযান হয়-
মিনারের পাদদেশ থেকে সুরেলা কণ্ঠে-
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম…
সবাই ছুটে জান ওযু করে
-সেজদায় লুটিয়ে পড়েন
আবেগের ক্ষুধার্ত শিশুর ন্যায়
শৃঙ্খল মুক্ত ডানা মেলে-
ফিস্ফিসানি সুর তুলেন
সুগন্ধময় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা-
লোমশ বুকে প্রাণ ফিরে আসে স্বর্গীয় রিনিঠিনির
অঝোর বর্ষণে-
তৃপ্তির সমীকরণ ঘটে হাত তুলা অমৃত চুম্বনে
আঙ্গুলে ছোঁয়া মায়াবি ছন্দ গাঁথা নতুন সূর্যোদয়
আহ! ভাঁজে – ভাঁজে স্বপ্নেরা খেলে যায় জানালার রেলিং ধরে
অরণ্যে বুনোগন্ধ কুয়াশার কামড়ে –
আর পাগলাহাওয়া যন্ত্রণার স্বগতোক্তি কফিন নিয়ে
-ঘুরে আমার চারিধার
উত্তাল গতিতে আর্দ্র রক্ত ছুটে চলে
অভাববোদের প্রচ্ছদে-
বজ্রের দিপ্রতা আঁকে ঝুটিকাবৃষ্টির আত্মভোলা ঘূর্ণিরোগে।