নীল সমুদ্দুরের পাড়ে,
শিশির ভেজা ঘাসের মায়া ভরা চাদরে
বিষণ্ণ চিত্তে নির্ভীক ভাবে বসে আছি,
বেদনার লাল নীল ধূলোরাশি নিয়ে
প্রবীণ দক্ষ মাঝী র অপেক্ষায় শিরীষ তটের বটের মূলে।
পূর্ণিমার নির্জন পালঙ্কের কালো নদীর রূপালি জলের বিরহী ঠোঁটের নীড়ে
উড়ো চিঠি বুকে নিয়ে,
শেষ প্রহরের ক্লান্তি ক্ষণে বিষের –বিস্বাদের মালা গলায় ঝুলিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি কালের তরী র জন্যে।
অন্তিম রাত্তিরে নক্ষত্রের অন্তহীন ঢেউয়ের ফেনার অস্তাচলে
আক্রোশের অন্ধকারে,
নিরুদ্দেশের চঞ্চল প্রণয়িনী মায়াবিনী মেঘের ঘুমন্ত গহ্বরের
দুরন্ত চিতার মৌনতায় এক ফালি শূন্যতা বিচ্ছুরণ নিয়ে ,
বৈ কালের ইশারা –ইঙ্গিতে র জন্যে।
উপকণ্ঠের দোলাচলে
তিমির বিদারী উৎকণ্ঠার নগর বন্দরে,
উদ্বেল দহনে র গোল পৃথিবীর মরীচিকার আঁচলের
দখিনা মেরুর স্তব্ধতার নীলকণ্ঠের নীলিমার অচল তপ্ত;
মরুভূমির পাদ দেশে,
অসীম পাঁজরের,
থোকা থোকা রাশি বিন্দু নিয়ে
অপেক্ষা মান;
অনন্ত জীবনের অনন্তকালের ছলনাময়ী ডাকে র আশার লক্ষ্যে।
নিখিলের তরে,
নির্লিপ্তিত ভুবন মাজারে সন্ধ্যার আবছায়া কুয়াশার প্রান্তরে
আঁধার ধোঁয়া লিপ্ত বাসনার শোণিত অধুনা র প্রস্তর কাননে,
অনন্ত যৌবনের মত্ত উদাসীন ক্রন্দন-কল্লোলে
সীমাহীন ভূমানন্দে।
দ্বৈপ সাগরের কূলে ,
ধূসর বঞ্চিত ঊর্ধ্ব গগনের কপাটে
দাঁড়িয়ে আছি,
মন মাঝি র জন্যে,
আসবে কখন নিতে আমায় ওপারের পাড়া গাঁয়ে।