কোন সে সূদুর নীহারিকা পুঞ্জ,
অজানা অন্ধকার অতীত গর্ভকুঞ্জ
থেকে উৎসারিত গ্রহ তারকা দল,
নির্দিষ্ট কক্ষে পরিক্রমায় প্রতি পল।
সেই তিমিরাবগুণ্ঠিত যুগের বটমূলে
স্পন্দিত জীবন রহস্য,কাল কূলেকূলে
তরঙ্গায়িত জীবন মৃত্যুর নিয়ন্ত্রিত ছন্দে
অন্তহীন পথচলা অলিন্দে অলিন্দে।
ক্ষুদ্র বীজে শায়িত অমেয় সম্ভাবনা,
প্রস্ফুটিত শিরায় শিরায় গুপ্ত চেতনা।
ক্ষুদ্র জলকণার দল গড়িতে সাগর,
ছুটে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ভাঙিয়া আগড়।
দীর্ঘ পথ পাড়ি শেষে মানুষ যোনি,
অনাগত ভবিষ্যত দেয় হাতছানি,
মানব শিশু যে সবে ভূমিষ্ট হ'ল আজ,
স্বপ্ন সাধ সাকারে তুলিবে আওয়াজ।
শ্রেয় থেকে শ্রেয়তর জীবনে উদ্বর্তন,
প্রকৃতি নিয়মে বাঁধা সুশৃঙ্খল যতন,
উৎস প্রতি ধায় সবি লক্ষ্য রাখি স্থির,
জীবনের অর্থ কর্মে প্রোথিত গভীর।
শ্রেষ্ঠ জ্ঞানেন্দ্রিয়ের হয়ে অধিকারী,
জীবপালিনী দায় নিজ বোধ করি,
হে, মানব পুত্র,বিশ্ব-পিতা সন্তান,
নয়তো হীন তুমি,করো জীব ত্রান।
প্রাণ সে দেবতার অসীম যে দান,
প্রতিদিন ক্ষুদ্র কর্মে দিয়ে তারে শান,
তমসার অন্ধকার করিয়া বিদায়,
জ্ঞানোজ্জ্বল আলোয় হোক তব উদয়।
অসৎ থেকে সৎ এ হোক তব যাত্রা,
দিকে দিকে পৌঁছাও এই সৎ বার্তা,
মৃত্যুকেও জয় করিবার শ্রেষ্ঠ লক্ষ্যে,
অমৃতর পুত্র তুমি রাখো স্বপ্ন চক্ষে।।