পাহাড়ি ঝর্ণা অজানা গহ্বর থেকে
গুহা কন্দরে নিজেকে রেখে ঢেকে,
আপন খেয়ালে নৃত্যের তালে তালে,
পথ চলে মূর্ত বিমূর্ততার ছাপ ফেলে।
অযুত বছর বেয়ে তোমার পথ চলা,
চির নূতন মনে পুরাতনী কথা বলা,
উন্মীলিত নিজ ছন্দে লাস্যে বিকাশ,
উদ্বেলিত তনু মোদের মেতে উল্লাস।
তোমার চঞ্চল ডাগর বিভঙ্গে রাণী
সৃষ্টির কোন রহস্য কর কানাকানি?
প্রকৃতিতে উন্মোচিত তার ঋতু ডালি
তাদের সঙ্গে তোমার কত কোলাকুলি।
গ্রীষ্মে প্রাণ ওষ্ঠাগত,তুমিও শীর্ণকায়া,
হেরিয়া তোমার রূপ হৃদয়েতে মায়া,
অঝোর ধারা বরিষায় হয়ে বৃষ্টি স্নাত,
উদ্ভিন্নযৌবনা দুর্বার দুই পাড় প্লাবিত।
তখন তোমার রূপ, অশান্ত কুরঙ্গীনি।
গড়ো, সাথী সাথে সুপেয় স্রোতস্বীনি।
ক্ষয় করি মৃত্তিকা প্রতি পলে পলে,
বয়ে চলো সব বাধা টুটায়ে অবহেলে।
বনরাজি ফুলে ফলে তোমারে সাজায়,
তোমার এই রূপ রাজি তোমায় মানায়।
মেঘ বালিকাদের এই উপযুক্ত স্থান,
অবগুণ্ঠিত জলকেলি, স্নিগ্ধ অবগাহন।
সূর্য-করোজ্জ্বলিত সুনীল আকাশ,
মৃদু বায়ু হিল্লোলে মঞ্জরি বিকাশ।
কুলুকুলু ধ্বনি তুলে তোমার বিহার,
কবিদের প্রেরণাদায়ী মনের আহার।
হেমন্তের হিম ঝরা পড়ন্ত বিকেল,
তুমিও কি বুকে ধরো শিশির বিমল?
ক্লান্ত কায়া বয়ে চলা তুমি নও স্থির,
প্রকৃত উৎস পাশে যাইতে অধীর।
শীতের আগমনে হৃদয়ে হিম ভয়,
তুষার তুহিনে যদি গতি রোধ হয়।
চরৈবতি মন্ত্র ক্ষনিক ভুলে থেকে
প্রকাশো নিজে নির্মল শুভ্র প্রতীকে।
বসন্ত ঋতুরাজ,পড়িয়া ফুল সাজ,
তোমারে স্মরায় তব অসমাপ্ত কাজ।
প্রকৃতি রঙে রেঙে, হটিয়ে নিজ ভয়
জড়ত্ব স্থবিরতা নাশি, কর মৃত্যু জয়।।