নিঃসঙ্গতা বড় বেশি নিঃসঙ্গজনক-
এই বৈশাখেও প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যে
আড়ালে-গোচরে, চিরচিরে রোদ-ভেজা মাঠে
আঙ্গুলের ফাঁকে-খোঁপার ভাঁজে
নরম বালিশে, চোখের মালিশে
হাঁটতে হাটতে বসে পড়ে,চায়ের কাপে
রমনা থেকে মুখ পেরিয়ে শাহবাগে,
বুক পকেট থেকে স্যারের ড্রাফ্ট নোটে
সাঙ্গু-কর্ণফুলি ভেসে উদাসিন নীলনদে।
গহীনের পাড়াগুলির, আরও গহীনে
মহীনের ঘোড়াগুলির, আরও পাশে
কবির শেষ রাতের সুখী ঘুম ধরে
নেশাখোরের সদ্য-জন্ম দেয়া চাঁদে
হাঁসফাঁস করা দুপুরের কোলজুড়ে
আগুণসন্ধ্যায়, মডেল-কন্যার বুকে
এভাবে সূর্যবন্ধী শহরের বুক কেটে কেটে
মানুষ-ধুলো আর স্মৃতির অজস্র জাংশনে---
নিঃসঙ্গতার তম-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
নিঃসঙ্গতা কেন লাগে? নিঃসঙ্গতার পাঁজরে হাড় সংখ্যা কত?
নিঃসঙ্গতারা আমাদের দুধে-ভাতে আছে তো?
নিঃসঙ্গতারা দেখতে দেখতে কত বড় হয়েছে?
আমার নিঃসঙ্গ লাগে কেন? নিঃসঙ্গ না থাকলে, আমার কি হত?
নিঃসঙ্গতার , নিঃসঙ্গজনক অবস্থা দেখতে কেমন?
আমি কখনও দেখি নি, আমার খুব ইচ্ছে করে , খুব।।
আমার খুব মায়া হয়, নিঃসঙ্গতা তোমার জন্য।
মায়া, সে কে ?
নিঃসঙ্গতার,নিঃসঙ্গজনক অবস্থা না, তো ?...