গাঁজার আসরে মাথানত ঝুঁকে,বসে আছে
পৌরাণিক দেবী।
গায়ে ঘ্রানে আড়ি পেতেছে,বুনো লতার
মায়ার জলছবি।
গাজার আসরে আজ খুনী সেজে নতজানু
নিষ্কলঙ্ক ইচ্ছের,বেপরোয়া আততায়ী
গাঁজার আসরে আজ বয়ে গেছে,এক
বিস্মরণের নদী ।
বিষণ্ণ ঠোঁটে তাহাঁদেরর লেগে আছে,আজ
পুড়ে-খাক ভালবাসার মতন,সজত্নে লিখা
নির্জলা মিথ্যেগুলি
কাটাকাটা জোছনায় আজ গাঁজার আসরে
আরও রক্ত ঝরুক,চলুক হৃদয়ের কাটাকুটি।
সিয়েনা পুড়ে এইখানে,এই কুয়াশাবন্ধী
গাঁজার আসরে পড়ে থাকে শুধু,বার্নট
সিয়েনার ধ্রুপদি সামাজ্র্য
এইভাবে একদিন বয়ে যায় ধূলিঝড়ের যুগ
অজস্র ধূলিঝড়ের শেষে,রয়ে যায় শুধু
ফাইলচাপা মেট্রো জীবন-
ফিতে-বাঁধা আমাদের,আজন্ম চাওয়া
এক রোদনভরা বসন্ত ।
সবশেষে আসে ভ্রম,গাঁজার আসরে
হুল ফোঁটায় পোড়া স্মৃতি,
তাই দিয়ে হয়ে যায় কোন একদিন
আদ্যপান্ত এক নিষিদ্ধ দেবী ,
কখনও জোনাকির মালা গলায়
বুকে টেনে সুখ দেয় নেফারতিতি।
এইভাবে দিন-প্রতিদিন,গাঁজার আসরে
নোনতা সুখে,নিমাই টানে,গাঁজা ফুঁকে
নকশা বানায়,পঙ্গপাল যত মধু-মাছি
বিস্ফোরণের শেষে,পড়ে থাকে কতক
সামরিক প্রেমিক,বেসামরিক কবি ।।