বিভীষিকার কাছে প্রশ্ন করতে নেই
তার তো উত্তর জানা নেই
জন্ম অবধি সে পুড়িয়েছে
অবারিত নক্ষত্রের রাতে ধরিয়ে দিয়েছে
কয়েদী দেশলাইয়ের বাসন্তী আগুণ
তাজা ছুরিতে শান দিতে দিতে
সে যে কতবার রক্তের দিব্যি কেটেছে
উত্তরের অলীক আশাটাকে তাই
উত্তরের অই অশালীন বাতাসে ভাসিয়ে দেই
বিভীষিকার কাছে ক্ষান্ত দেই-বলি,
কেটে-কুটে আমায় ছড়িয়ে দাও
বোতলবন্দী কোন শূন্যে
এই সালফার-সঙ্গীতের ক্যাকফোনি থেকে দূরে
বংশগত দূষণহীন কোন প্রান্তিক উপত্যকায়
আমাকে মিশিয়ে দাও,বার্নট সিয়েনার প্রান্তরে
নির্বাণ দাও বিভীষিকা, রক্তের সাথে
চলে যায় অই নীল ধরে
সেখানে না হয় আরেকবার জন্ম নিব
ব্যবলনীয় সম্রাটের বেশে,বছরঘুরে
ফরাসি গন্ধে মাতম তোলা সন্ধ্যায়
আরেকবার,তোমার গরম ঠোঁটে চুমু কাটব
কিংবা,এইসব কিছুই নয়
কেটেকুটে ছড়িয়ে দাও,নষ্ট জরায়ুতে
কেটেকুটে শুধু ছড়িয়ে দাও আমায়
বিভীষিকা,তুমি তুন্দ্রার নিঃসঙ্গ শীতলতায়
পুড়িয়ে দাও,মগজের বুড়ো শিকড়
বিভীষিকা আমায় ছড়িয়ে দাও
ভালবাসার মত,ক্লস্টফোবিয়াক আক্রোশে ।।