ঘুম আসে না,একটা নির্বোধ ঘাতক-
সে হয়ত ক্লান্তি বা বিস্ফোরিত বোধ
খাটের পাশে ঠাই দাঁড়িয়ে-থেকে থেকে বিদ্রূপ করে।
শুনশান নীরবতার কক্ষে,অপরাধীর মত-
একা হয়ে যায় বায়বীয় স্বপ্নগুলো।
করোটির ভেতরে সে মিশিয়ে দিয়েছে
মহাশূন্যর নিরবতা,সৃষ্টির আদিযন্ত্রনা।
আমাদের এই মুখোমুখি রাত্রির যেন শেষ নেই
মাথার ভেতরে,চোখের মণিতে,নীল রক্তে
সে আমার দখল নিয়েছে।
সে আমার বোধে-গন্ধে আগুন ধরিয়ে
আমায় শুদ্ধ করতে,ঢেলে দিয়ে গেছে
একশ বছরের জমানো শীতের নিঃসঙ্গতায়
অরব আঁধারের অধঃক্ষেপ।

এপাশ-ওপাশ পায়চারি শেষে ভোর আসে,ধ্বংসস্তূপের তদন্তকার্যে-
নগ্ন ছুরির মত এফোঁড়ওফোঁড় করে,চলে জিজ্ঞাসাবাদ
উওর দেয়ার কিছু নেই,আমার বায়বীয় স্বপ্নগুলো বিকিয়ে দিয়েছি।
যা ঘটে গেছে,তার বর্ণনা দিতে পারে শুধু
ভেজা মেঝে ,টকটকে রক্ত,ছাদ চুইয়ে চুইয়ে পড়তে থাকা,
বেওয়ারিশ কান্নাজল।