আমাদের সারসংক্ষেপহীন সম্পর্কের রোদ ফুরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়েছিল হয়ত আগে,অনেক আগে-তবু সূর্যটাকে ইনিয়ে বিনিয়ে আঁধারে গলিয়ে দিতাম তোমার ছায়াটা আরেকটু দীর্ঘায়িত হোক এইটুক অবাঞ্ছিত আশায়।মুখস্থ-ঠোঠস্থ-কন্ঠস্থ করা ধারাপাতও আজকাল বেমালুম ভুলে বসে আছি।মুঠোবন্ধী হাত যে হাটতে হাঁটতে কবেই নিঃশ্বাস আর ধুলোর সাথে মিশে শূন্য হয়েছে তাও মনে পড়ছে না।দেখতে দেখতে নির্বোধ নির্জন হয়েছি।আঁধারে জোনাকীর ম্যাজিক দেখে দেখে গল্পের শেষ পাতায় চলে এসেছি আমরা।বিরাম চিহ্নের কোন বাধ্যবাধকতা বোধ করি নি।ভেবেছিলাম,মুখোমুখি বসে থাকার দিনগুলোর জীবাশ্মই সে দায়িত্ব পালন করেছে।তবু তুমি অদ্ভুত সুন্দর বিরাম চিহ্ন এঁকে দিল।আর পোড়া কাঠে নখের আচর কেটে,দিয়ে দিলে বিষণ্ণ কবিতাগুলোয় সর্বশেষ পাদটীকা।বরফ জমা হ্রদে হিমবাহ আনতে এত কিছুর দরকার ছিল না,না হলেও বেশ চলে যেত।এই বরফ যুগে আমি, তোমায় ছেড়ে বহুআগেই অনেককাল থেকেই হামাগুড়ি দিয়ে হাটতে শিখেছি।যেদিন থেকেই জীবনের প্রথম বরফের ভালোবাসা লেগেছে স্বপ্নে,রক্তে,গন্ধে।লেগে আছে তোমার মতই,একটু একটু হয়ে অনেক করে।
কবিতাটি ৫৪৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ০৯/০৩/২০১৪, ১২:২৪ মি: