ঘুম,আধেক ঘুমে
স্থানান্তরিত আমি,ঝরা পালকের দেশে
তোমায় ভেবে,এক মেঘ-দুপুরে
লিখেছি,সেথায় দু-খানা কবিতা
বিনি সুতোয়,সেলাই দিয়ে।
এক-খানা,শাল-পাতার তলে
হাটতে হাটতে ,ভ্রম ভেবে
কাপা হাতে,ফেলেছি ছিড়ে
আরেক-খানা,গিয়েছে হারিয়ে
চন্দ্রগ্রস্তের,দেশে
জলের সিড়ি বেয়ে
কাঠপোড়ানো শীতের রাতে
নয়তো বা,তাড়া খাওয়া পাখিদের
সাথে উড়ে গেল তবে
জীবনের শেষ বসন্তে
হয়তো বা,ক্লান্ত একশেষ
থেকে থেকে পুরনো পাজামার
ময়লার আস্তরনে।
এর মাঝে ছিল না অভিমানের মেঘস্বর
ছিল না,কাটাকুটি খেলার চিরন্তন ছেলেমানুষী
ছিল না,ভরা কলোসিয়ামে মুন্ডুপাতের ভয়
এক নির্জনতার,বোধে আমি পুড়ে পুড়ে
কাঠকয়লার পথ হয়েছি।
তুমি দিয়েছিলে,পথিক বনে যাওয়ার
ঝলসানো দুঃসাহস
আমি তা পারি নে-
সাহস-সৌরভে আমি অস্তগামী সূর্য
পথ হয়ে তাই আবার,বিস্তৃত আমি
পৃথিবীর,জল-মেঘ,রৌদ্র শৈত্য তাপ-
গায়ে ঢেলে,দূর থেকে দূরে ছুয়েছি
আর ছুয়ে ছুয়ে নির্জন হয়েছি।
ফেরার দেশ পেরিয়ে,না-ফেরার
দেশ ছুঁয়েছি,অনন্ত রাত্রি নত হয়ে থাকে
তুমি ও আছ,তাদের সাথে জেগে
আমিও থাকি,পথের বেশে শুয়ে।