ঘুম আসে,মায়াবী নদীর অপারের দেশ থেকে
সদ্যফেরত তীর্থযাত্রীর,গাঁয়ের ধূপের গন্ধে
ঘুম আসে, টানা রেলের রাত কাটানো শব্দে
নিয়তির মত নিশ্চিত ভেসে ভেসে।
ঘুম আসে,অরব অন্ধকারের যাত্রী সেজে
নিঃসঙ্গ নদ, নীলের বুক ছুয়ে ধীরে ধীরে
ঘুম আসে,দূর থেকে বহুদূরে
হ্যামিলনের হারিয়ে যাওয়া বাঁশিওয়ালার সাথে
ঘুম আসে, আলাস্কার মাইল থেকে মাইলে
বিস্তীর্ণ গ্লেশিয়ারে,দিকশূন্য অভিযাত্রীর রক্তশূন্য চোখে
ঘুম আসে,স্ফুলিঙ্গের মত শূন্য চিড়ে
অজ্ঞাত চিরকুট রেখে ,এ-ঘর থেকে ও-ঘরে
ঘুম আসে,কতক উড়নচণ্ডী দিন ফুরোতে
পৃথিবীর পথে যাত্রা করা,উল্কার পিঠে চড়ে
ঘুম আসে,ফ্লোরেস ঘুরে ইস্টার দ্বীপ থেমে
মূর্তিদের নীরবতা ভেঙ্গে,দাড়ায় দরজার ওপাশে
ঘুম আসে,সভ্যতার সীমারেখার বাইরে
প্রশান্তের অতলে,আমাজনের গহীনে
জড়াজড়ি করে বেঁচে থাকা বুনোফুলের সংসারে
ঘুম আসে,ঘুম আসে,এক-এক করে,শতক হয়ে
বর্ষীয়সী রূপসীর ম্লান বেশে।
নীহারিকা নেবুলা ছেড়ে,পাশ ফেরানো নিকটে
উষ্ণতা খোঁজা, বিড়ালের মত গুটিশুটি পায়ে
এসে পড়ে,ঘুম শিল্পীরা সব,মুখোমুখি দাড়িয়ে
সব অপেক্ষা ফুরিয়ে আসে-
ঘুমের দুর্গ,আমাদের বন্ধী করে ফেলে
সহস্র কালের ক্লান্ত দু’চোখ নিভে আসে
আধো ঘুমে,মিশে যায় ঝরা-পালকের দেশে-
মেঘ না চাইতেই যে,তারা জলকে ভালোবাসে।