সে আসত যখন—
ভোরের প্রথম আলোর কণা,লালচে আভায় তার
লিখে যেত দিন শুরুর ছোট কোন গল্প
আর রাতভর ক্লান্ত শুকতারা, তার মিইয়ে আসা আলোতে
ঘুম পাড়িয়ে যেত স্মৃতি-কাতর কোন নাগরিক পোকাকে।

তার প্রতীক্ষা মিশে থাকত—
বুড়ো মেঘগুলোর অস্থিরতার দিনে
ব্যকুল বৃষ্টি পোকার কোন ক্ষণে
নিঃশব্দ পার্কের শূন্য আসনে,দিন শেষের
উঁকি দেওয়া আলোয় রেখে যাওয়া কারও অসম্পূর্ণ পত্রে।।

সে আসত যখন—
শীতের প্রথম রোদ-মাখা ঘাস-ফুল
যুগল শুভ্রতায় হেসে উঠত
এক আকাশ মুগ্ধতায় জড়িয়ে নিত
পাতায় নুইয়ে পড়া শিশিরের শেষ ভালোবাসাকে।।
তার অপেক্ষার মূহুর্তগুলো ছাপ রেখে যেত—
ভবঘুরে আঁকিয়ের চোখে,কার স্মরণে
দেখা দিত দিনান্তে একাকী পথের  অর্বাচীন প্রান্তে
বা,থেমে যাওয়া সুরগুলোতে
হয়ত, হারিয়ে যাওয়া ভাবুকের অসম্পূর্ণ কাব্যে
ভাবনার দরজায় বারংবার কড়া নাড়িয়েও
বলা হয়নি  যা,ঘুমিয়ে পড়া নীলচে প্রজাপতিকে।।

সে আসত,
তার ভালোবাসাগুলোর মত গাঢ় নীরবতা নিয়ে
শাদা মেঘের রাজত্বের দিনে
নীল-শাদা স্মৃতি নিয়ে
নিভে যাওয়া আলোর কান্না হয়ে।।

সে আসত,
সরলরেখা একে যাওয়া দিনগুলোতে
শীতার্ত দুপুরে,অলস-সুন্দর হয়ে
কুয়াশায় জড়ানো কল্পনা নিয়ে
নীপবনের শেষ বসন্তে ভরা চোখের ক্লান্তিতে
ঘুমালো চোখে ঘুমিয়ে পড়ার আনন্দ  হয়ে।।

একসারি বিরামচিহ্নের নীরবতা হতে,
আসবে সে কি?
কিছু বিষাদের পাখি হতে?
ধ্যানমগ্ন বকের-
একঘেয়ে বর্ষা-যাপনে
ঘেমে নেওয়া সবুজে ঘাসফড়িঙয়ের-
প্রথম স্পর্শের, দ্বৈত শ্রাবণে ।।