দুই চক্ষু বুঝিয়া দেখিতে পাইলাম
সাদা কাফনের কাপড়ে জড়াইয়া
আমার ই সহোদর ভাইয়েরা
আমাকে কাঁধে লইয়া চলিছে হনহনাইয়া
বলিলাম,ভাই একটু দাঁড়াও
মা’কে আমার আসি বলিয়া
দেখিলাম মা আমার দুয়ারে দাঁড়াইয়া
দুই নয়নের জলে মা’র কপোল গেছে ভাসিয়া
বলিলাম,মা’গো আমাকে রাখোনা
তোমার শাড়ির আঁচলে গুঁজিয়া
যেমন রাখিতে আমাকে পৃথিবী তে আসিয়া
বলিলেন মা আমার ,তুমি তো এখন অনেক বড়
কেমন করিয়া তোমায় রাখিব ঢাকিয়া ?
দেখিলাম,অদুরে ই স্বামী আমার আছে তাকাইয়া
নির্বাক ,অপলক দৃষ্টি শূন্য পানে ফালাইয়া
বলিলাম,ও গো আমায় তুমি দিও না যাইতে
তোমার বুকের পাঁজর ভাঙিয়া
যে পাঁজর এর হাড় এ আমার সৃষ্টি
তোমার দুই বাহু ডোরে রাখো আঁকড়াইয়া
বলিলে তুমি ,আমার কি শক্তি ?
তোমায় আমি রাখি ধরিয়া ?
আত্মীয় -স্বজন,বন্ধু-বান্ধব,পাড়া-প্রতিবেশী
রাখিছে সবাই আমায় ঘিরিয়া
তবু ও কেউ একটিবার বলিল না
আমাদের ছাড়িয়া তুমি যাইও না চলিয়া
আমার ই সহোদর ভাইয়েরা
আমাকে কাঁধে লইয়া চলিছে হনহনাইয়া
বলিলাম আমি,ভাইয়েরা আমার কখনো আসিয়া
লও নাই খবর ,আজ কেনো নিয়াছো কাঁধে তুলিয়া ?
আমাকে রাখিয়া তোমরা যাও গো চলিয়া
ভাইয়েরা আমার বলিল,বোন তোমার শরীর হইয়াছে শীতল
আত্মা তোমাকে ছাড়িয়া গিয়াছে,
এখন মাটির দেহ মাটিতে মিলাইবে
সেখানে চলো তোমায় আসি রাখিয়া।
স্মরণে আসিল আমার বাবা’র মুখ-খানি
বাবা’কে আমরা রাখিয়া আসিয়াছি
দিন ,মাস,বছর গিয়াছে কাটিয়া
ভালোই হইল ,বাবা তো আমায় লইবেন বুকে তুলিয়া
বাবা,বা………বা,বা………বা……………
“আসসালাতু খইরুম মিনান নাওম”
নিদ্রা হইতে স্বলাত উত্তম
“আসসালাতু খইরুম মিনান নাওম”
নিদ্রা হইতে স্বলাত উত্তম
কানে আসিল ভাসিয়া
ধড়ফড় করিয়া উঠিলাম জাগিয়া
সারা শরীর দেখি হাতাইয়া ,আমি আছি
আমি আছি বাঁচিয়া ।
ওযু করিয়া ,স্বলাত আদায় করিয়া
বলিলাম,হে আল্লাহ্ ,মহান তুমি
তুমি আমায় রাখিয়াছ বাঁচাইয়া
যতদিন বাঁচি ,তোমার নির্দেশ যেন মানিয়া
চলিতে পারি সদা -সর্বদা ।
জান্নাতুল-ফেরদউস এ তুমি আল্লাহ্ ,
আমাকে নিও কবুল করিয়া।