মা গো তুমি আবার রাঁধো
এক পাতিল ভাত
সরষে ইলিশ ,ডাল
আর পাঁচ মিশালি শাক
খেতে যে বড়ো ইচ্ছে করে
কি করে ভুলি,অমৃত সে স্বাদ
সকলকে যে আসতে হবে
বসবো বাবার চারিপাশ ঘিরে
আমার জায়গাটি থাকে যেনো
বাবার ডানদিকে র গা ঘেঁষে
ইলিশ মাছের মাথা তুলে
দিবেন যে আমার ই পাতে।
এক পাতিলে ভাত
এক কড়াই মাছ
একটি ছাদের নীচে আমরা
এক টেবিলে খাবার দাবার
কি আনন্দ,কি সুখ ছিলো,
মাগো তোমার ভূবন জুড়ে।
পাঁচ ভাই, দুটি বোন
নাওয়া ,খাওয়া ,লেখা পড়া
বাগান করা ,খেলা ধূলা
রুটিন মাফিক চলতো ধরা।
তোমায় ছেড়ে হলাম যেনো ছন্নছাড়া।
একটি সংসার ভেঙ্গে এখন
চৌদ্দ সংসার গড়ে যখন
চৌদ্দ টেবিল খালি পড়ে
খাবার গুলো টেবিল ভরে
পড়ে থাকে সারা দিনমান।
কেউ ডাকে না নামটি ধরে
খেয়ে যায় ,যখন যার ইচ্ছে করে।
কারো সাথে হয় না দেখা
সকাল , দুপুর কিংবা রাতে।
কারো সাথে কেউ খেলেনা
খেলে কেবল নিজের সাথে।
আলাপ হয় না আপন জনে
কদাচিৎ ,হলে পড়ে ঝগড়া বাঁধে।
পরের সনে হয় কথা শত শত
চলছে চলে চলবে অবিরত।
আপন আপন ছিলাম মোরা
পিছন ফিরে হয়না আর ঘোরা।
চলছি তো চলছি ,দৌড়ে ,দূরে
কি আসে যায় ,কে বা আছে পড়ে
মুখ থুবড়ে।
মা গো তুমি আবার রাঁধো
এক পাতিল ভাত।