প্রভুর প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা থাকলেও "বাউল Philosophy" এর বেশ কিছু কথা মেনে নিতে পারিনা ৷ তাই একটা ছোট্ট অভিজ্ঞতা Share করলাম !!
বাউলঃ “বাড়ির পাশে আরশি নগর, সেথায় এক পড়শি বসত করে”
পথিকঃ “বেশ সুন্দর বল্লেন তো, আরশি মানে কি ভাই”
বাউলঃ “আয়না!! আমি মনের আয়নার কথা বলছি”
পথিকঃ “বাহ, পড়শি কি সুন্দর ভীষণ? নূরাণী সুরত?”
বাউলঃ “আমি একদিন ও না, দেখিলাম তারে”
পথিকঃ “সে কি!! আয়না ময়লা নাকি?”
বাউলঃ “গেরাম বেড়ে অগাধ পানি, নাই কিনারা নাই তরণী পাড়ে”
পথিকঃ “কিন্তু তরণী তো সৃষ্টির শুরু থেকেই ঠিক করা”
বাউলঃ “পাড়ে আছে তোর তরণী?”
পথিকঃ (মুচকি হেসে), আপনার নেই বলে কারুর কি থাকবে না?
বাউলঃ (আবার গান ধরে), কি বলবো পড়শিরও কথা, হস্ত পদো স্কন্ধ মাথা নাই রে
পথিকঃ “সে কি!! তবে গীতা কুরআন বাইবেল সব জায়গায় যে বলেন “আমি এক ও অদ্বিতীয়”?
বাউলঃ “যা বুঝিস না সেটা নিয়ে কথা বলবি না”।
পথিকঃ ক্ষমা করবেন; যেহেতু একটা পানি, একটা বায়ু বলা যায় না, আর প্রভু বলেন “আমি এক”, সেখান থেকেই প্রশ্ন করা।
বাউলঃ (বিরক্তি নিয়ে গাওয়া শুরু করল) পড়শি যদি আমায় ছুঁতো, যম যাতণা সকল যেত দূরে; সে আর লালন একখানে রয় তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে
পথিকঃ মশাই, মনের আয়নায় পড়শি থাকলে দূরত্ব কমছে না কেন?
বাউলঃ কি বলতে চাস?
পথিকঃ মনসুর হাল্লাজের “আনাল হক” গীতার ভাষায় অবতারে প্রভুর ধরে আগমন এ সব যদি সত্যি হয় তবে আপনি লক্ষ যোজন ফাঁকে কেন?
বাউলঃ (বিচলিত হয়ে) কেন?
পথিকঃ ভালোবাসা যে চায় তাকে ভালোবাসাটা দিন ঠিকমতো
বাউলঃ (অবাক হয়ে প্রশ্ন করে) তোর নাম কি বাবা?
পথিকঃ মাহবুব—প্রভুর ও তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অবতারের।