ওদের অদ্ভুত রকমের ক্ষমতা
অপছন্দের কিছুই মেনে নিতে পারে না।
তার সাথে জীবনের এই যাত্রা পথে,
প্রতিটি মুহূর্তে, আমার শেষটুকু দিয়ে
তার জন্য লড়াই করেছি।
সবসময় আমি সামনে ও পিছনে।
যাতে করে বিপদটা সবার আগে
আমার উপরে আসে।
এইবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
দিনের আলো ফুরিয়ে রাত,
রাত ফুরিয়ে আবার দিন।
আর ঠিক ক্ষণিকবাদেই দিন।
সামনের ঘন জঙ্গল টা পার হলেই রাস্তা,
আর কে খুঁজে পায় আমাদের?
কিন্তু এমনটা হলো না।
এমনিতে অনেক রাত,
তার উপর চারপাশে নিগুঢ় অন্ধকার।
মোবাইলের টর্চ লাইটের আলোও
যেন ভয়ে ভয়ে জ্বলছে।
হঠাৎ করে ওর কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছি না।
অনেক ডাকছি, পাগলের মতো কান্না করছি।
অনেক চিৎকার করেই তাকে ডাকছি।
এই পুরো পৃথিবী এতটাই বধির হয়ে গেল?
পাখিরা ঘুমিয়ে, বৃক্ষ নিরব দাঁড়িয়ে,
স্রষ্টা তুমি কোন দিকে তাকিয়ে?
ক্ষণিক বাদে কে যেন আমাকে ডাকছে
আমি হলফ করে বলতে পারি এটি তার অবয়ব।
ও আমাকে খুব হাসিমুখে নাম ধরে বলছে—
এই দিকে আসো।
আমি গেলাম, একটি বাড়ির সামনে।
অনেক মানুষ, আনন্দের কিচিরমিচির সেখানে।
ও আমাকে দুজন মানুষের সাথে
পরিচয় করিয়ে দিল।
আমি অবাক না হয়ে, বললাম—
তুই আমাকে জানালিও না।
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো
খিলখিলিয়ে হাসছে।
সবার সাথে তাল মিলানো তার
মৃদু হাসি ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে
বরং ভালোই লাগছিল।
কী ভাবছেন?
আমিতো বলেছি, ওদের অদ্ভুত রকমের ক্ষমতা
অপছন্দের কিছুই মেনে নিতে পারে না।
তাকে দোষ দিতে চাই না,
তাকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা শুধু আমার।
সে ভোরের শিশিরের মতোই স্নিগ্ধ।