ওরে এ কোন্ স্নেহ-সুরধুনী নামল আমার সাহারায়?
বক্ষে কাঁদার বান ডেকেছে, আজ হিয়া কূল না হারায়!
কণ্ঠে চেপে শুষ্ক তৃষা
মরুর সে পথ তপ্ত সিসা,
চলতে একা পাইনি দিশা ভাই;
বন্ধ নিশাস – একটু বাতাস!
এক ফোঁটা জল জহর-মিশা! –
মিথ্যা আশা, নাই সে নিশানাই!
হঠাৎ ও কার ছায়ার মায়া রে? –
যেন ডাক-নামে আজ গাল-ভরা ডাক ডাকছে কে ওই মা-হারায়!
লক্ষ যুগের বক্ষ-ছাপা তুহিন হয়ে যে ব্যথা আর কথা ছিল ঘুমা,
কে সে ব্যথায় বুলায় পরশ রে? –
ওরে গলায় তুহিন কাহার কিরণতপ্ত সোহাগ-চুমা?
ওরে ও ভূত, লক্ষ্মীছাড়া,
হতভাগা, বাঁধনহারা।
কোথায় ছুটিস! একটু দাঁড়া, হায়!
ওই তো তোরে ডাকচে স্নেহ,
হাতছানি দেয় ওই তো গেহ,
কাঁদিস কেন পাগল-পারা তায়?
এত ডুকরে কিসের তিক্ত কাঁদন তোর?
অভিমানি! মুখ ফেরা দেখ যা পেয়েচিস তাও হারায়!
হায়, বুঝবে কে যে স্নেহের ছোঁয়ায় আমার বাণী রা হারায়।
(ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)