৬.
ওঠো, নাচো! আমরা প্রচুর করব তারিফ মদ-অলস
ঐ নার্গিস-আঁখির তোমার, ঢালবে তুমি আঙ্গুর-রস !
এমন কী আর-যদিই তাহা পান করি দশ বিশ গেলাস,
ছয় দশে ষাট পাত্র পড়লে খানিকটা হয় দিল্ সরস !
৭.
তোমার রাঙা ঠোঁটে আছে অমৃত-কূপ প্রাণ সুধার,
ঐ পিয়ালার ঠোঁট যেন গো ছোঁয় না, প্রিয়া, ঠোঁট তোমার ।
ঐ পিয়ালার রক্ত যদি পান না করি, শাপ দিও;
তোমার অধর স্পর্শ করে এত বড় স্পর্ধা তার !
৮.
আজকে তোমার গোলাপ-বাগে ফুটল যখন রঙিন গুল্
রেখো না পান-পাত্র বেকার, উপচে পড়ুক সুখ ফজুল ।
পান করে নে, সময় ভীষণ অবিশ্বাসী, শত্রু ঘোর,
হয়ত এমন ফুল মাখানো দিন পাবি না আজের তুল !
৯.
শারাব আনো! বক্ষে আমার খুশির তুফান দেয় যে দোল ।
স্বপ্ন চপল ভাগ্যলক্ষ্মী জাগল, জাগো ঘুম-বিভোল !
মোদের শুভদিন চলে যায় পারদ সম ব্যস্ত পায়
যৌবনের এই বহ্নি নিভে খোঁজে নদীর শীতল কোল !
১০.
আমরা পথিক ধূলির পথের, ভ্রমি শুধু একটি দিন্,
লাভের অঙ্ক হিসাব করে পাই শুধু দুখ, মুখ মলিন ।
খুঁজতে গিয়ে এই জীবনের রহস্যেরই কূল বৃথাই
অপূর্ণ সাধ আশা লয়ে হবই মৃত্যুর অঙ্কলীন ।
(কাব্যগ্রন্থঃ রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম, ফেব্রুয়ারী ২০১০, প্রকাশকঃ বিশ্ব সাহিত্য )