৪৬.
আমি চাহি, স্রষ্টা আবার সৃজন করুন শ্রেষ্টতর
আকাশ ভুবন, এই এখনই এই সে আমার আঁখির 'পর
সেই সাথে চাই__ সৃষ্টি-খাতায় দিক কেটে সে আমার নাম,
কিংবা আমার যা প্রয়োজন তা মিটাবার দিক সে বর ।
৪৭.
নাস্তিক আর কাফের বলো তোমরা লয়ে আমার নাম,
কুৎসা গ্লানির পঙ্কিল স্রোত বহাও হেথা অবিশ্রাম ।
অস্বীকার তা করব না যা ভুল করে যাই, কিন্তু ভাই,
কুৎসিত এই গালি দিয়েই তোমরা যাবে স্বর্গধাম ?
৪৮.
বদখশানি রক্ত চুনির মতন সুরা চুইয়ে আন্
তপ্ত হিয়ার আনন্দ যা, শান্ত যাহে দগ্ধ প্রাণ ।
মুসলমানের তরে শারাব হারাম না কি, সবাই কয়,
বলতে পারে তাদের কেহ__ আছি কি আর মুসলমান ?
৪৯.
মসজিদ মন্দির গির্জায় ইহুদ-খানায় মাদ্রাসায়
রাত্রি দিবস নরক-ভীতি স্বর্গ সুখের লোভ দেখায় ।
ভেদ জানে আর খোঁজ রাখে ভাই খোদার যারা রহস্যের
ভোলে না এই খোশ গল্পের ঘুম-পাড়ানো কল্পনায় ।
৫০.
এক হাতে মোর তসবি খোদার, আর হাতে মোর লাল গেলাস,
অর্ধেক মোর পুণ্য-স্নাত, অর্ধেক পাপে করলো গ্রাস ।
পুরোপুরি কাফের নহি, নহি খাঁটি মুসলিমও__
করুণ চোখে হেরে আমায় তাই ফিরোজা নীল আকাশ ।
(কাব্যগ্রন্থঃ রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম, ফেব্রুয়ারী ২০১০, প্রকাশকঃ বিশ্ব সাহিত্য )