৪১.

অজ্ঞানেরই তিমির তলের মানুষ ওরে বে-খবর !
শূন্য তোরা, বুনিয়াদ তোর গাঁথা শূন্য হাওয়ার পর ।
ঘুরিস্ অতল অগাধ খাদে, শূন্য মায়ার শূন্যতায়,
পশ্চাতে তোর অতল শূন্য, অগ্রে শূন্য অসীম চর ।

৪২.

লয়ে শারাব-পাত্র হাতে পিই যবে তা মস্ত্ হয়ে
জ্ঞানহারা হই সেই পুলকের তীব্র ঘোর বেদন সয়ে,
কি যেন এক মন্ত্র-বলে যায় ঘটে কি অলৌকিক,
প্রোজ্জ্বল মোর জ্ঞান গ'লে যায় ঝর্ণা সম গান বয়ে ।

৪৩.

"শারাব ভীষণ খারাপ জিনিস, মদ্যপায়ীর নেই কো ত্রাণ ।"
ডাইনে বাঁয়ে দোষদর্শী সমালোচক ভয় দেখান__
সত্য কথাই ! যে আঙুরে, নষ্ট করে ধর্মমত,
সবার উচিৎ__নিঙরে ওরে করে উহার রক্তপান ।

৪৪.

আমার কাছে শোন্ উপদেশ__কাউকে কভু বলিসনে__
মিথ্যা ধরায় কাউকে প্রাণের বন্ধু মেনে চলিসনে ।
দুঃখ ব্যথায় টলিসনে তুই, খুঁজিসনে তার প্রতিষেধ,
চাসনে ব্যথার সমব্যথী, শির উঁচু রাখ্ ঢলিসনে ।

৪৫.

মউজ চলুক । লেখার যা তা লিখল ভাগ্য কালকে তোর,
ভুলেও কেহ পুঁছল না কি থাকতে পারে তোর ওজর ।
ভদ্রতারও অনুমতি কেউ নিল না অমনি ব্যস
ঠিকঠাক সব হয়ে গেল ভুগবি কেমন জীবন-ভোর ।


(কাব্যগ্রন্থঃ রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম, ফেব্রুয়ারী ২০১০, প্রকাশকঃ বিশ্ব সাহিত্য )