১১.

ধরায় প্রথম এলাম নিয়ে বিস্ময় আর কৌতূহল,
তারপর--এ জীবন দেখি কল্পনা, আঁধার তল ।
ইচ্ছা থাক কি না থাক, শেষে যেতেই হবে, তাই বলি--
এই যে জীবন আসা যাওয়া আঁধার ধাঁধার জট কেবল !

১২.

রহস্য শোন্ সেই সে লোকের আত্মা যথায় বিরাজে,
ওরে মানব! নিখল সৃষ্টি লুকিয়ে আছে তোর মাঝে ।
তুই-ই মানুষ, তুুই-ই পশু, দেব্-তা দানব স্বর্গদূত,
যখন হতে চাইবি রে যা হতে পারিস তুই তা যে ।

১৩.

স্রষ্টা যদি মত্ নিত তোর__আসতাম না প্রাণান্তেও
এই ধরাতে এসে আবার যাবার ইচ্ছা নেই মোটেও ।
সংক্ষেপে কই, চিরতরে নাশ করতাম সমূলে
যাওয়া-আসা জন্ম আমার, সেও শূন্য শূন্য এও !

১৪.

আত্মা আমার! খুলতে যদি পারতিস এই অস্তিমাস
মুক্ত পাখার দেব্-তা সম পালিয়ে যেতিস দূর আকাশ ।
লজ্জা কি তোর হল না রে, ছেড়ে তোর ঐ জ্যোতির্লোক
ভিন্-দেশী প্রায় বাস করতে এলি ধরার এই আবাস?

১৫.

সকল গোপন তত্ত্ব জেনেও পার্থিব এই আবহাওয়ার
মিথ্যা ভয়ের ভয় গেল না? নিত্য ভয়ের হও শিকার?
জানি স্বাধীন ইচ্ছামত যায় না চলা এই ধরায়,
যতটুকু সময় তবু পাও হাতে, লও সুযোগ তার ।


(কাব্যগ্রন্থঃ রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম, ফেব্রুয়ারী ২০১০, প্রকাশকঃ বিশ্ব সাহিত্য)