১  
           নাই    তা   জ  
           তাই    লা    জ?
ওরে   মুসলিম, খর্জুর-শিষে তোরা সাজ!
করে   তসলিম হর কুর্নিশে শোর আওয়াজ
শোন   কোন মুজ্‌দা সে উচ্চারে হেরা আজ  
            ধরা-মাঝ!
  
       উরজ-য়্যামেন নজ্‌দ হেজাজ তাহামা ইরাক শাম
       মেশের ওমান তিহারান স্মরি কাহার বিরাট নাম।
পড়ে   ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্‌লাম।  
            চলে   আঞ্জাম  
            দোলে   তাঞ্জাম
খোলে   হুর-পরি মরি ফিরদৌসের হাম্মাম !
টলে   কাঁখের কলসে কওসর ভর , হাতে আব-জমজম জাম ।
শোন   দামাম কামান তামাম সামান নির্ঘোষি কার নাম
পড়ে   ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লানম।’
  

২  
           মস্       তান !  
           ব্যস       থাম্!
দেখ   মশ্‌গুল আজি শিস্তান-বোস্তান ,
তেগ   গর্দানে ধরি দারোয়ান রোস্তাম ।
বাজে   কাহারবা বাজা, গুলজার গুলশানগুলশান : পুষ্প-বাটিকা।
           গুলফাম !
  
      দক্ষিণে দোলে আরবি দরিয়া খুশিতে সে বাগে-বাগ ,    
      পশ্চিমে নীলা‘লোহিতে’র খুন-জোশিতে রে লাগে আগ,
মরু   সাহারা গোবিতে সব্‌জার জাগে দাগ!
           নূরে  কুর্শির  
           পুরে   ‘তূর’ -শির,
দূরে   ঘূর্ণির তালে সুর বুনে হুরি ফুর্তির,
ঝুরে   সুর্খির ঘন লালি উষ্ণীষে ইরানিদূরানি তুর্কির!
আজ   বেদুইন তার ছেড়ে দিয়ে ঘোড়া ছুড়ে ফেলে বল্লম
পড়ে   ‘সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাললাম।’
  


           ‘সাবে   ঈন’  
           তাবে   ঈন
হয়ে   চিল্লায় জোর ‘ওই ওই নাবে দীন !
ভয়ে   ভূমি চুমে ‘লাত্ মানাত’ -এর ওয়ারেশিন ।
রোয়ে   ওয্‌যা-হোবলইবলিসখারেজিন , –    
            কাঁপে   জীন্ !  
       জেদ্দার পূবে মক্কা মদিনা চৌদিকে পর্বত,  
       তারই মাঝে ‘কাবা’ আল্লার ঘর দুলে আজ হর ওক্ত্ ,
ঘন     উথলে অদূরে ‘জম-জম’ শরবৎ!  
            পানি    কওসর,
            মণি    জওহর
আনি   ‘জিবরাইল’ আজ হরদম দানে গওহর ,
টানি    মালিক-উল-মৌতজিঞ্জির – বাঁধে মৃত্যুর দ্বার লৌহর।
হানি   বরষা সহসা ‘মিকাইল’ করে ঊষর আরবে ভিঙা ,
বাজে   নব সৃষ্টির উল্লাসে ঘন ‘ইসরাফিল’ -এর শিঙা!


           জন্   জাল  
           কঙ্   কাল
ভেদি,  ঘন জাল মেকি গণ্ডির পঞ্জার
ছেদি,  মরুভূতে একী শক্তির সঞ্চার!
বেদি   পঞ্জরে রণে সত্যের ডঙ্কার  
              ওংকার!  
       শঙ্কারে করি লঙ্কার পার কার ধনু-টংকার
       হুংকারে ওরে সাচ্চা-সরোদে শাশ্বত ঝংকার?
ভূমা-   নন্দে রে সব টুটেছে অহংকার!

             মর-  মর্মরে
             নর-  ধর্ম রে
বড়ো   কর্মরে দিল ইমানের জোর বর্ম রে,
ভর্   দিল্ জান্ – পেয়ে শান্তি নিখিল ফিরদৌসের হর্ম্য রে!
রণে   তাই তো বিশ্ব-বয়তুল্লাতে মন্ত্র ও জয়নাদ –
‘ওয়ে  মার্‌হাবা ওয়ে মার্‌হাবা এয়্ সর্‌ওয়ারে কায়েনাত !’
  

           শর- ওয়ান  
           দর্- ওয়ান
আজি   বান্দা যে ফেরউন শাদ্দাদ নমরুদ মারোয়ান ;
তাজি   বোর্‌রাক্ হাঁকে আশমানে পর্‌ওয়ান, –
ও যে   বিশ্বের চির সাচ্‌চারই বোর্‌হান –
              ‘কোর-আন’!
  
       ‘কোন্ জাদুমণি এলি ওরে’ – বলি রোয়ে মাতা আমিনায়  
       খোদার হবিবে বুকে চাপি, আহা, বেঁচে আজ স্বামী নাই!
দূরে    আব্‌দুল্লার রুহ্ কাঁদে, “ওরে আমিনারে গমি নাই –

দেখো   সতী তব কোলে কোন্ চাঁদ, সব ভর-পুর ‘কমি’ নাই।’  
      ‘এয়্  ফর্ জন্দ’ –  
       হায়   হর্‌দম্
ধায়    দাদা মোত্‌লেব কাঁদি, – গায়ে ধুলা কর্দম!
‘ভাই।  কোথা তুই?’ বলি বাচ্চারে কোলে কাঁদিছে হাম্‌জা দুর্দম!
ওই   দিক্‌হারা দিক্‌পার হতে জোর-শোর আসে, ভাসে ‘কালাম’ –
‘এয়   ‘শাম্‌সোজ্জোহা বদরোদ্দোজা কামারোজ্জমাঁ’ সালাম!’

      (বিষের বাঁশি কাব্যগ্রন্থ)