হায় অভাগি! আমায় দেবে তোমার মোহন মালা?
বদল দিয়ে মালা, নেবে আমার দহন-জ্বালা?
            কোন ঘরে আজ প্রদীপ জ্বেলে
            ঘরছাড়াকে সাধতে এলে
            গগনঘন শান্তি মেলে, হায়!
দু-হাত পুরে আনলে ও কি সোহাগ-ক্ষীরের থালা
            আহা দুখের বরণ ডালা?
            পথহারা এই লক্ষ্মীছাড়ার
পথের ব্যথা পারবে নিতে? করবে বহন, বালা?
  
লক্ষ্মীমণি! তোমার দিকে চাইতে আমি নারি,
            দু-চোখ আমার নয়ন জলে পুরে,
বুক ফেটে যায় তবু এ-হার ছিঁড়তে নাহি পারি,
ব্যথাও দিতে নারি, – নারী! তাই যেতে চাই দূরে।
  
            ডাকতে তোমায় প্রিয়তমা
            দু-হাত জুড়ে চাইছি ক্ষমা,
            চাইছি ক্ষমা চাইছি ক্ষমা গো!
নয়ন-বাঁশির চাওয়ার সুরে
            বনের হরিণ বাঁধবে বৃথা লক্ষ্মী গহনবালা।
কল্যাণী! হায় কেমনে তোমায় দেব
            যে-বিষ পান করেছি নীলের নয়ন-গালা।

  (ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)