অশরীরী তোমাতে বিশ্বাস,
নাকি ভ্রান্ত ধারনাতে লুপ্ত,আগ্নেয়গিরির জ্বালাময়ী লাভায় ক্রোধময় সংকীর্ণ হৃদয়-
বিচক্ষনের মূর্তি তুমি, কথায় কথায় উদাহরণের কীর্তি তুমি,
তবে কেবা দেখেছে এমনটি-
তবে কি জ্ঞানের সীমাতে অজ্ঞান আত্মা,
নাকি শুধু কর্ণপাতে ভারী অবাস্তব প্রত্যয়।।
মহাকাল তুমি,
পেন্ডুলামের মত দিকবিদিক সাম্মতায়;নষ্ট সময়ের সাক্ষী তুমি?
সৃষ্টিসেরা মানুষ তোমার, তবে কেন আজন্ম ভেদাভেদ,
তবে কেন মিষ্টি মুখের সৃষ্ট মরীচিকা,
তবে কেন মহাজোটের অদৃশ্য চাটুকারিতা -
ঘটে যায় আদ্যন্ত ক্ষুরধারে সত্য শিরশ্ছেদ।।
অন্তর্যামী তুমি,
অন্তরের বর্জ্য নয়ত দুখভারে বাথাতুর হিদকম্পন-
অজানায় রাখে সাধ্য কার?
তবে কেন দুহাত তুলেই চাইতে হবে,
তবে কেন পাবে ওরাই, নিরন্তর হঠকারিতায়ে মত্ত,
এখানেও কপালের কালি অতি নগণ্য মনের কালিমাতে।।
অভিমানী সত্তা,
অবিচারের কষাঘাতে,চক্ষুজলের সমাপ্তিতে জেগে ওঠা প্রশ্ন,
অশরীরের চক্ষুতে।
ক্ষুদ্র ফাটলে আক্রান্ত উম্মুক্ত বিশ্বাসে,
সহস্র উত্তরের অন্নেসা-উদ্ভ্রান্ত অস্থির মনস্কামনা
আর জন্মানো অবিশ্বাস।।
তব অবিশ্বাসের বিশ্বাসে তুমি,
তব শেষ আশ্বাস বলেই তুমি,
তব সব অশরীরীতে বিশ্বাস।।