ভুল বুঝো না আমায়, তোমাকে সুধাই নারী, তবে তুমি সুন্দরী বিধায়।
হস্তীস্বরূপ, কৃষ মৃত্তিকার রঙে ,
রাঙানো দেহে বস্ত্রই বা কিবা টাণে, আর নগ্নে কিবা আসে?
ভেবেছো কবি কিবা জানে? অভাগিনী তোমরা।।
পারলে না মেতে উঠতে ঐ ছল চাতুরীর খেলায় ;পারলে না যৌবনের ঢেঊ এর
তোড়ে গা ভাসাতে। পারলে না অর্থ, বিত্ত, যোগ্যতার কাছে সানন্দে বলী হতে। পারলে না সৌন্দর্যের প্রকৃত ব্যবহার করতে। আর ভালোবাসা সেতো নদীর পাড়ে বসে দিবাস্বপ্নে স্নানের মতোই। বসন্ত বাড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ে তোমাদের কপলের ভাঁজ,
আর সেই হেতুতে মুছকি হাসে একদা তোমারই আড্ডার সাথী,
চায়ের কাপে ঝড় তোলে একদল সুন্দরী নারী, আর ভেবে নেয়, তৃপ্তির
ঢেকুর তুলে; তবে আমরাই তো আদর্শ নারী।।
ভুল বুঝো না আমায়, তোমাকে সুধাই নারী, তবে তুমি সুন্দরী বিধায়।
ফিরে তোমার কৈশোরে; তখন ও তোমার বক্ষে নেই মেদের ঘনঘটা, গ্রীবাদেশে
নেই মায়াবি গন্ধ, আপন মনে খেলে বেরাও স্বাধীনতার অরন্নে। মেতে উঠ
বন্ধুত্তে, অবান্তর যুক্তিতে, মনের হেয়ালিতে; তবে কালের খেয়ালে,
বিপরীত লিঙ্গের টানে, আর আপন দেহের গরিমাতে মত্ত হয়ে বুজতে শিখো,
তুমি পরিনত নারী, বুজতে শিখো বাজারের দরে তুমি যে উচ্চ আসনে।।
ভোমরার মধুর অন্বেষণ এ তাল মিলিয়ে, খুজে ফেরো আপন ভোমরার,
মধুর ঘনত্ব ভুলে, মিল খুঁজ আপন শিকরের। লাথি মার সব টানে,
ভালবাসার মায়ায়, প্রেমের অনুভুতি আর বসন্তের ছোঁয়াতে
আর ভাব তবে, আমরাইত আদর্শ নারী।।
ভেবেছ আজ চির জয়ী নারী তুমি?, বক্ষে তোমার সুযোগ্য জারজের কামর,
কাগজের ভারে পতিতা হয়েছ তুমি স্ত্রী। তবে গায়ে জালা ধরছে?
জল স্নানের সাথে চলে গেছে তোমার একদা প্রেমিকের চিহ্ন? অই লালার গন্ধ সরে গেসে?
ধুয়ে মুছে গেসে কামের চিহ্ন? আজ তুমি পবিত্র,
তাইত হায়েনার কোমরের নিচে চলছে তোমার নিত্ত উঠা নামা।
আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আবার ও ভেবে বশে আছো, আমরাইত আদর্শ নারী।।
তবে ভেবনা, শান্তির নিদ্রা শুধু তুমি যেতে পার।
আদর্শ তুমি একাই নও, ইতরও পবিত্র হতে চায়,
আবারও অপবিত্র হতেই।
দেখে রেখ তোমার জীবন সঙ্গিকে, দেখে নিও শিশ্নের রঙ,
অবাক হওয়ার নাই যে কিছু,
তুমি একাই যে সুন্দরি নারী নও!
তোমার খেলা শেষে, আরও যে খেলা হবে।
তুমি খেলেছ অগোচরে, তবে আরও হবে নিরবে, পশ্চাতে।
তুমি আদর্শ নারী বটে; সুখি তুমি আদর্শে, সমাজের দৃষ্ট নিয়মে,
বিক্রিত সৌন্দর্যের চড়া মুল্লে।।
স্বাধীনতার ঝাণ্ডা উড়িয়ে, অবিরত নিয়ম ভেঙ্গে, শেষে
পরাধীন হওয়াই বেছে নাও, সামাজিক মুল্লের কাছে।
তবে তোমাকে তোমার সুন্দর থেকে বের করে আনে সাধ্য কার,
তবে তোমাকে স্বাধীন করার সাধ্য কার? তুমি হও বেমানান,
তোমার নিজের কাছে, শুধু এটুকুই বুঝ তুমি সুন্দরী নারী।
সব বসন্তের হাওয়া মন ভোলায় না, তুমিও পাবে হাহাকার
অবলা নারীর ভিতর, যখন কাম হারাবে দেহের, নেশা যাবে চোখের,
যত কিছু পার, যত বার করে পার, হয়ত নতুন ভাবে, নয়তো পুরানের মাঝে;
হায়েনাদের কিছু যায় আসেনা, কারন তুমি
শুধু আরেকটি বিছানার সঙ্গী,
তোমার কর্মে তুমি মহান,
তুমি সুন্দরী নারী।