গ্রীস্মের খরা তাপে কালবৈশাখী ঝড়ে
বর্ষার বারিধারা, কন কন শীতে
রাত পোহানো ভোরে
তরতাজা যৌবনা ছিলে
চিরসবুজ সতেজ চিরচেনা রুপে
শিশিরে ভেজা স্নিগ্ধ বাতাসে !
এ পল্লব..
সবুজ শ্যামল ঘেঁষা মায়াবী সৌরভ
কে জানে..একদিন হয়ত সবই মিছে !!
ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে
যত্মে গড়া মাটির ঘরে
উইপোকা নিরবে বসতি গড়ে
অদৃশ্য থেকে দৃশ্যেমান হয়
যখন জারুল কাঠের মজবুত ভীত হয়ে উঠে নড়বড়ে
উপছে পড়ে উড়ে যায়
প্রলয়ংকারী এক সর্বনাশী ঝড়ে !!
আসিবে বসন্ত
নতুন পাতার হাসিতে জুড়ে যাবে মন
খুশিতে সাজবে রঙ মাখানো দিগন্ত !
অসময়ে আকালে ঝড়ে গেলে
পুরোনো পল্লবকে কেউ কি রাখিবে মনে?
তুমি দেখে নিও সে যদি হারিয়েও যায়
সুনামির জলোচ্ছ্বাসে কোথাও ভেসে যায়
ছায়া ঘেরা মায়ায় ভালবাসার কদর
নিঃশ্বাসে যে দিত বেঁচে থাকার আদর !
মনে রেখ মরে গেলেও সে হবে
পা মাড়িয়ে আনন্দ দেওয়া
ঝরা পাতার করমর চাঁদর !