পৃথিবী সৃষ্টির পেছনে যিনি লুকিয়ে থাকে,
তাঁকেই যেন খুঁজে বেড়াই এই পৃথিবীর বুকে।
তাঁকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না সকাল-দুপুর-সাঁঝে!
সারা পৃথিবীময় তিনি ছড়িয়ে আছেন কোথায় কোন কাজে?
মুগ্ধতা! মুগ্ধতা! বিস্ময়ই এই বিধাতা!
মানবীর কোলের শিশুটি তাঁর বিস্ময়ের এক আগমনি বারতা।
শিশুটির মাঝেও খুঁজে বেড়াই তাঁকে,
যে শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
মুগ্ধতা! মুগ্ধতা! নিয়ে খুঁজছি তাঁকে,
তিনি ঠিকই আছেন আমাদের এই ঘূর্ণিপাকে।
দু'নয়নে আমি দেখছি, তাঁর সৃষ্টি সে তো বৃষ্টি!
তাঁকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি চোখের দৃষ্টি।
ছুঁটে গেছি খুঁজতে তাঁকে পাহাড় পর্বতমালায়!
সেখানেও খুঁজে পাইনি তাঁকে, বরং নির্মল বায়ুতে বিশুদ্ধ হয়েছি, হতে অন্তর কালিমায়।
আছড়ে পড়েছি নীল সমুদ্রে! তাঁকে পাওয়ার আশায়,
নাহ! কেবলই মুগ্ধ অনুভবে স্নানে হয়েছি পবিত্র! যা বলতে পারিনি ভাষায়।
কোথায় তিনি? হন্যে হয়ে খুঁজছি তাঁকে প্রকৃতির লীলাভূমির এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত,
মুগ্ধতায়! বিস্ময়ে খুঁজে ফিরে আজ আমি ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত।
তবুও পায়নি আজো তাঁকে,
ঋদ্ধ হয়েছি থেকে থেকে।
কত বোকা আমি!
তুমিতো আছো আমাদেরই সাথে,
এই সৌন্দর্যের মাঝে।
নত মস্তকে জানাই কৃতজ্ঞতা!
ওহে আমার বিধাতা।
শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, মুগ্ধতায় এ এক বিশেষ অনুভূতি!
মুখ ফুটে বলা যায় না, এর ব্যাপ্তি।