১.
প্যানেলে কাঁদছেে চাঁদ
হেসে উঠতেই কুয়াকাটার ছবি
ধুর ছাই বলে ঝেড়েছি
স্মৃতির কণা -
সব রুদ্ধ -অসাড়
কিছুটা অবশেষ আমার
তোমার আধখান -

ঝাঁসির রাণীর সাথে আমিও ঝাঁপ দিয়েছিলাম আগুনে -
পোড়া গন্ধে ফুসে উঠেছে রোয়ার জমি
বসতি আর কাঠের ঘর
জীবন্ত দহনে তেরশ কুন্ডলী পাকিয়ে ওঠে বুকের জমিনে
আগুনের আর এক নাম খাঁটি হবার মিডিয়াম
সে তুমি কি কুটিরে আছো
চেখে দেখো জ্বলে যাওয়া মাংসের আস্বাদ !!


তোর অসুখ ভালো হোক
পশ্চিমে যেদিন সূর্য ওঠা দেখে হাহাকার করবে জনতা -
সেদিনো ভালো হোক তোর হাতের মাসল
পায়ের গিরা - বুকের শিরা -
তবু তুই ভালো থাকিস পুবেও পশ্চিমে
জুনের ঝাঁ ঝাঁ গরমে অন্ধকার সেলুনে -
-
খিঁচে ওঠা দাঁত ভেসে ওঠা বুকের পাজর
সন্ধ্যার হিমে গর্জে ওঠা অন্ধকার বাকল
তোর সুতার মতন সাপের খোলস
আলগা দিয়ে ওঠা ভাদ্দরের পোয়াতি বিনাশ
তবু সব ভালো হোক –


এইসব মরে যাওয়া ঘাস এবং
অলিখিত ইতিহাস
একদিন কবরে ঘুমায়
আদ্যোপান্ত তার ইতিহাস


সে তিনি চিরকাল ধনুক নিয়ে বনে যান
ফিরে আসেন চোরাবালি সমেত
তারে ফিরাইছে কোন সে চেরাগ
চিনে নাই কাভি সে আমারে
ফিরাতে যে পারে সে থাকে
গোপন অন্ধকারে -

ছন্দ কেটে কেটে জলের পতন
তোমার দুচোখে বিষাদ দেখি
ইশ্বরের রেখে যাওয়া অচলায়তনে
তুমি কাঁদ কেন নিরুপমা ?


বার বার তোমারই এবাদত করি
লোকে পশ্চিমে ঝুকে
আমি পুবে


আমার এমন লাগে কেনে
রংমহলে বসে কেনে
বিরংসাতে টানে!!
কে আমারে ডাকে!!
ঘর বাইরে সকল বিস্বাদ
সকল জাহান্নামে -


ভাইসব! চুপ করুন আপনারা! চলুন আমরা আমাদের প্রিয়তমর জন্য একটু ফুঁপিয়ে কাদি!

আমাকে রেখো তোমার লকেটে ।
রেখো তোমার বুক পকেটে –
তোমার নীল ফেড জিনসের ধোয়া ওঠা রোয়ায় –

১0
পৃথিবীর সব পাখিদের শব পড়ে আছে
মাকুর গাছের ডালে
শব্দহীন কালো জেনিফার
চুলের বেণী বেঁধে নাও
রন্ধন কলা শেষে -
১১
মোমের ইতিহাস কি করে বলি
টুটে যাওয়া হরতন জাহান্নামে বুঝি !!
কি করে খুজে ফিরি এই দুঃখ অমরা
কেউ যদি জানে এই ব্যাধি অধরা !
মূল - হাফিজ
ভাবানুবাদ - নাজমুন নাহার