দ্বিতীয় এব্ং শেষ অংশ --

ফররখজাদের প্রথম সংগ্রহ  ৪৪ টি কবিতা নিয়ে ১৯৫৫ সালের এক গ্রীষ্মে প্রকাশিত হয় । কবিতাগুলোতে এক তরুণীর না বলা কথা এবং অধরা ভালোবাসায় আচ্ছন্ন থেকে তাকে পাওয়ার অবিরাম একটা আকুতি ঘুরে ফিরে এসেছে । কোনো ধরনের দার্শনিকতা নেই এবং শুধুমাত্র প্রকৃতির বর্ণনা , এর প্রভাব মানবজীবনে এবং দৃশ্যমান সবকিছুতে বিদ্যমান অদৃশ্য অবস্থায়ও এক্সিস্টেন্স কবিতাকে ঘোর আস্বাদ দিয়েছে । এখানে কবির বর্ণীল মুডের প্রকাশ যেমন অনুশোচনা , একাকীত্ব, পরাজয়, সন্দেহ, আনন্দ, দিবাস্বপ্ন ইত্যাদি শতধারায় বর্ণিল ভাবে বিচ্ছুরীত হয়েছে । কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে নারীর পুরুষের প্রতি ভালোবাসা এবং অবিচ্ছেদ্য টানের ধারাবাহিক বিবরণ The Captive এ পাওয়া যায় । নারীর ভালোবাসার মধ্যে সব পাওয়া ইত্যাকার বিশ্লেষন কবিতার লাইনে লাইনে রিদম তৈরী করে ।
একজন পুরুষ বিশ্বাসহীনতা , নেতিবাচকতা , অহংকার বিভিন্ন অবস্থার মাধ্যমে যাওয়া  যেখানে স্বকীয় বা নিজস্ব যৌক্তিক অবস্থান থেকে সরে আসেন ।The  Captive  এর পুরুষ শক্তিশালী , বৃক্ষ , উন্মুক্ত বাহু একজনের কোলে তার সমর্পণ এবং ভালোবাসার উষ্ণ অনুরণন অথবা চুম্বনে সিক্ত । ভালোবাসা কখনো নিজেই  নিঃশ্বেষ হয় । কোনো কোনো পুরুষ কখনোই কম্প্রোমাইজ করে না । আবার কেউ কেউ ভালোবাসার ম্যাজিক মোহে অন্ধ হোন । যদিও এরপর যারা দেখেন লেখক এখানে এলোমেলো বিষয় এবং ভালোবাসার ম্যাজিক অর্থ এবং অপ্রস্তুত  ভালোবাসা দেবার জন্য স্বয়ং এক সত্তা হিসেবে আবির্ভুত হন ।
The Captive এর কবিতাসমূহে জীবনী শক্তি যৌনক্ষুধা চরিতার্থ করণ এবং হতাশাবাদী জীবন সম্পর্কে আশাবাদী এক তরুণীর উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় ।  কবিতাগুলোতে ইসলামী দর্শন অপেক্ষাকৃত কম এসেছে । যদিও ইরানের আবহ এবং পরিবেশে লেখা তথাপী একজন মা-নারী এবং প্রেমিকা প্রতিটি রুপেই কবির চিত্রন ঘুরে ফিরে স্বতন্ত্র  গানের আবহে কবিতায় মূর্ত হয়েছে  ।
পাঠকের সরলতা এবং আতিশয্য ব্যক্তিগত জীবনীর স্বর বিশেষ
করে ব্যক্তিগত জীবনীর নারী চরিত্র  The Captive  এ অনেকটাই উচ্চকিত ।
The  Captive  বিষয়বস্তু অনেকটা পুরুষবাচক , সেকেন্ডের জন্য হলেও একই সাথে সমান্তরালে মর্ডানিস্ট এবং ট্রাডিশনালিস্ট সমান গতিতে এগিয়েছে ।
I Want you I know that
Can I embrace you to my heart contest ?
You are that clear and bright sky
I am in the corner of the cage and  a captive bird –
জানি তোমাকে চাই
আমার হৃদয়াকাশে কি তোমাকে জড়াতে পারি ?
তুমি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল আকাশ
আমি এক কোনে বন্দীপাখি -
এখানে নারী এবং পুরুষের সত্যিকার যে অবস্থান তা আসলেও প্রকাশে শিল্পের ঘাটতি হয় নি । যে ভালোবাসবে সে নিজেই বন্দী পাখি তাই তার কি করার থাকে শুধুমাত্র তাকে জড়িয়ে ধরার অনুমতি চাওয়া ছাড়া –
এবং এই অনুমতি পাওয়া গেলেও সে নিজেই যেখানে বন্দী পাখি সেখানে এই সুখ স্বাচ্ছন্দ আর সমর্থ ব্যাকুল তৃষায় কি এসে যায় যখন সে নিজেই বন্দী হয়ে আছে

একটা ঘোরাটোপে –
Captive bird  এর ক্ষেত্রে কবি শুধু মাত্র নিজের দেশের নারীর অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি সমস্ত নারীকুলের গ্লানী আর বিষাদের কথা বলে দিয়েছেন ।
ফররখজাদের ২য় ভলিউম ২৫ টি কবিতা নিয়ে ছোট পদ্য সংগ্রহ। ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয় । এই পদ্য সংগ্রহ Wall  নামে প্রকাশিত হয় । অনেকটা Captive এর মতই । Captive এর কবিতাগুলোতে ইরানের আভ্যন্তরীন বিন্যাস বা দেশ সম্পর্কিত কোনো কিছু সেখানে আরোপিত হয়নি । ভালোবাসা ,  আবেগিক বিন্যাস , ব্যক্তিজীবনের সুখ-দুখ  এসবই মূল বিষয় ।
কিন্তু The Captive এর কবিতা বিশৃঙ্খল ভাবে একটি প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতা । Wall  এর কবিতাগুলোও তেমনি । মনে হয় বেশীর ভাগ  বিশেষ করে ইরানী মহিলাদের মানসিক আবেগিক বিন্যাস  কবিতাগুলোতে প্রকাশমান ।
উপরন্তু দুটি কবিতার বই এর নামকরণের ক্ষেত্রেও The Captive  এবং Wall এর পার্থক্য বোঝা যায় ।  
The Captive   এর অনেকটা ব্যক্তির আবেগিক মানসিক বিন্যাস প্রতিফলিতে হলেও
Wall এ এসেছে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের মধ্যে আবদ্ধ জনগণের বন্দীদশার হালহাকিকত ।
Wall এর কিছু কবিতায় ফররখজাদ ভালো নামকরণের অভাব বোধ করেছেন। যেমন thon কবিতার নামকরণ নদীর তীরে তার প্রথম ভালোবাসাকে নির্দেশ করেন ।

How will your memory die in my heart ?
The memory if you is the memory of first love  -(Diver)
তার প্রথম স্বামীকে উতসর্গীকৃত কবিতা –
In memory of our shared past  
and with the hope that this worthless gift of mine car be a
Token of my gratitude to his boundless kindness .
‘ এই পাপ আমার আনন্দ
অশ্লেষ উষ্ণতায়  জড়িয়েছি যারে
বক্ষের অন্দরে যে গুনাহ
কামে আর কাঠিন্যে ভালোবেসেছি ‘
Rabellian এ ফররখজাদ এর তৃতীয় কালেকশন ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয় । এতে ১৭ টি কবিতা স্থান পেয়েছে । Return এবং A Poem  for you  উল্লেখযোগ্য কবিতা ।
Wall এবং Captive  এর চাইতে  উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য রয়েছে ।
প্রথমত কিছু কবিতার মধ্যে বেশ কিছু ট্রাডিশনাল ফারসী সাহিত্যের চিত্রকল্পের ছায়া আছে যা আগের কবিতার বইগুলোতে ওল্ড টেস্টামেন্ট রয়েছে যা কোরাণিক এবং ট্রাডিশনাল ফারসী সাহিত্যের চিত্রকল্পের ছায়া  আছে যা আগের কবিতার বইগুলোতে পাওয়া যায় না ।
কিন্তু এখানে ফররখজাদ নতুন কাব্যিক জমিন তৈরী করেন ।
দ্বিতীয়ত এখানে  কবি কখনো কখনো নিজের মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা বলেছেন এবং  কবিতাগুলোতে মৃত্যু চিন্তা এসেছে ।
তৃতীয়ত কবিতার মুডে এবং বিষয় বৈচিত্র্যে  খৈয়ামের রুবায়াত এর কথা স্মরন করিয়ে দেয় । যেমন Divine Rebellion  এ  বক্তা ঘোষনা করেন যদি তিনি সৃষ্টিকর্তার মতো বড় হতেন তবে সম্ভাব্য কি কি করা তার হতো – যেমন সূর্যকে অন্ধকারে প্রবেশ করানো , পাহাড়কে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা অথবা বনে আগুন লাগানো এবং আত্মাকে কবর থেকে বের করে আনার মতো কাজ তিনি করতেন ।
১৯৬৪ সালে ফররখের চতুর্থ  কালেকশন প্রকাশ হয় । Another Birth নামের কাব্যগ্রন্থটিতে ৩৫ টি কবিতা আছে । এগুলো ছয় বছর সময় নিয়ে লিখেছেন এবং এর অনেক কবিতাই Andishesh Va Honar  kataba Hafteh পত্রিকায় প্রকাশ হয় । এবং উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ছিলো সমালোচকবৃন্দের মতে আধুনিক পারসিয়ান কবিতার জগতে এই গ্রন্থটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে । সবচাইতে উল্লেখযোগ্য begrudding বলেন ফররখ তার অন্যান্য লেখার জন্য হয়তো খুব একটা উৎকর্ষ দেখাতে পারেন নি কিন্তু another birth তাঁকে পারসিয়ান ভাষার উল্লেখযোগ্য কবি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে । কিন্তু এব্যপারে অনেকে একমত যে কবিতাগুলোর সঠিক নামকরণ হয়তো কবিতাগুলোর বিষয়বস্তুর সাথে কিঞ্চিত পার্থক্য থাকলেও ফররখজাদ    another birth দিয়েই কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হন । অবশ্য ফররখজাদ নিজেও মনে করেন another birth এ কবি হিসেবে তার পরিণতি আসে । সমালোচকদের মতে another birth তার কাব্য প্রতিভাকে ফোকাস করে । কাব্যিক ধার , কল্পনাশক্তি , চিত্রকল্প কাব্যশৈলী ইত্যাদি another birth কে বিশিষ্ট করেছে পাঠকসমাজের কাছে । To Ali His Mother said one day , Earthy verses এবং Jewel Studded land  এ কবিতার বাঁক এবং গতিপ্রকৃতির বৈচিত্র্যতা কবিতার এবং তার বিষয়বস্তু আঙ্গিক সবকিছুতে গাঢ় অভিনিবেশ লক্ষ্য করার  মতো । ভিন্ন আঙ্গিক ,শব্দ যোজনা চিত্রকল্প বুদ্ধিমত্তা কবিতাকে বর্ণিল করেছে ।
তার মৃত্যুর দেড় বছর আগে একটি সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিলো । সেখানে তিনি Wall  এবং The Captive , Rebellion এর কবিতাগুলোকে অস্বীকার করেন কিন্তু another birth তার মনে হয়েছে কবি হিসেবে অনেক পরিণত এবং এই কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতাই সত্যিকারের কবিতা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন । এবং অনুভব করেন যে এই কাব্যগ্রন্থেই তিনি সত্যিকার কিছু করতে পেরেছেন । তিনি যৌক্তিক দাবী করেন যে হাফিজের গজল যেগুলো কবিতা হিসেবে স্বীকৃত ছিলো সেগুলোকে সুর দিয়ে গজল সৃষ্টি হয়েছে । এবং গত হাজার বছর ধরে পারসিয়ান সাহিত্যে হাফিজের কবিতাগুলোতে রয়েছে ম্যাজিক এবং সত্যিকারের পদ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে .মৃত্যুর পরের জীবন এবং আত্মার অমরতা এবং অবিনশ্বরতা ইত্যাদি সম্পর্কে তার অবিশ্বাস রয়েছে দ্ব্যার্থবোধক ভাষায় তিনি জানান ।
Like nature
has an unavoidable, frank meaning.
In conquering me, he
confirms
the candid law of power.
he is savagely free
like a healthy instinct
deep in an uninhabited island.
he cleans the dust of the street
from his shoes
with pieces torn from Majnun's tent…
like a joyous folk song,
he is rough and passionate.
my lover
is a simple person,

…whom I
in this ominous strange land
have hidden like the last trace
of a great religion
in the thicket of my breasts.
প্রকৃতির মতো অপ্রতিরোধ্য অথবা সহজ আমার অর্থ
নিশ্চিত করে শক্তির কানুন সুস্থ্য মনস্তত্বের মধ্যে
সে সার্বভৌম অথচ নিগূঢ় জনশূন্য দ্বীপ
তার জুতো থেকে রাস্তার ময়লা সাফ করে
সাথে পড়ে থাকে এক সুতো মাজনুন হৃদয়
মায়াবী  লোকগানের মতো সে জটিল অথচ ধীর
সে আমার প্রেমিক সাধারণ
অশুভ অচেনা দ্বীপের মহৎ ধর্মের মতো
আমার বুকের ঝারখন্ডে  লেগে থাকে --
১৯৭৪ সালে Let us beginning of the cold  season ‘ প্রকাশিত হয় । Window , I feel Sorry  for the Garden , Same Who is like on One , It is Sound that Remain এবং I am Depressed এই কবিতাগুলো সহ ভলিউমটা সমৃদ্ধ ।
১২৭ টি কবিতায় সমৃদ্ধ অসাধারণ এই কাব্যগ্রন্থ ফররখজাদের চরিত্রকে পরিস্ফুট করেছে । এখানে অনেকগুলো কবিতাই বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে । কিন্তু অনেক কবিতাই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে ।। তার ৩২ বছর বয়সের জীবনে কবিতার প্রভাব যথেষ্ট ছিলো । কবিতা যদি তার জীবনে সরাসরি  প্রভাব ফেলে এবং স্বতন্ত্র একটা ভাবনা তৈরী করে Window কবিতাটি প্রথম Arash এ প্রকাশিত হয় । কবিকে মনে হয়নি উচ্চভিলাষী কিংবা প্রচন্ড প্রত্যাশায় ব্যতিব্যস্ত মনে হয়নি । এরকম One window for hearing /One window is enough for me   এই বিষয়টি যেনো ধ্রুব হয়েছে ।
যখন আমার বিশ্বাস ঝুলেছিলো
ন্যায়বিচারের অক্ষম আঁশে
এবং পুবের শহরে
আমার হৃদয়ের বাতি
শত টুকরায় বিচ্ছিন্ন
যখন আমার ভালোবাসার শিশুদৃষ্টি
আইনের কালোরুমাল দ্বারা বাধা হচ্ছিলো
রক্তের ঝরনা উদ্বেলিত
আমার ইচ্ছে দুর্দশাগ্রস্থ মন্দির থেকে
যখন আমার জীবন দীর্ঘ নয় আর
ঘড়ির কাঁটার টিক টিক ছাড়া কিছুই নয়
আবিষ্কার করেছি
আমাকে ভালোবাসতেই হবে –
আবার চাঁদের আনবিক বিস্ফোরণের পর কথক অনুভব করেন
স্বপ্ন চুড়ো থেকেই সবলতায় পড়ে এবং খুন হয়
আমি চার পৃষ্ঠা ক্লোভারের গন্ধ শুনেছি
প্রাচীন ধারনার কবরের উপর উলথিত হয়েছে ।
নারী যারা ধুলি ছিলো না আদৌ বা ক্ষুদ্র ছিলো না আমি কি পুনরায় কৌতুহলের সিঁড়ি আরোহন করবো ?
আমার ঘরের ছাদে
ভাল দেবতাদের অভিবাদনের জন্য
আমি মনে করি সেদিন অতিক্রান্ত হয়েছে
অনুভব করি যে মূহুর্তে ভাগ করেছি সেও ইতিহাস
অনুভবে সে টেবিলটা না চাওয়ার বাধা
আমার চুল এবং হাতের মধ্যে সেই দুঃখিত আগন্তক ।
কিছু বলা হোক আমাকে
সে কি তোমায় কচি দেহ তুলে দেবে !
সম্ভবত আরো কিছু চাওয়া হয় তোমার কাছে
বেঁচে থাকার মতো অনুভুতি থাকলে আমায় কিছু বলো –
আমার ভাবনার জানালা সূর্যের সাথে যুক্ত হয়েছে ।
Let us Believe in the beginning of the cold season “ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫
সালে ।ফররখজাদ সবচাইতে বড় এবং ধ্যানমগন কবিতা । এটি শুরু হয়েছে কথকের ব্যক্তিজীবন এবং সেখান থেকে তার সমস্ত জীবনের গল্প শুরু হয় ।
এবং এই হলাম আমি
একাকী রমণী
এক শীতের সূচনায় বোঝাবোঝির সূচনায়
পৃথিবী দুষিত হবার কালে
সহজ এবং দুখী আকাশ এবং সেই অক্ষম কনক্রিট হাত –
Let us beginning of the cold season এ ফররখজাদ অতীত এবং ভবিষ্যতে বিচরণ করেছেন ।
সময় বহমান
সময় চলে গেলো অথচ ঘড়িতে চার চারবার আঘাত করে
আজ শীতের শেষ বিন্দু জানি
মৌসুমের গোপনীয়তা
সদর রাস্তা ধরে বাতাস বয় ভগ্নদশার শুরুতে
আমি হিম এবং বুঝতে পারি
সে কখনো উষ্ণ হবে না
শীতার্ত আমি জানি কিছু রইলো না
সব লাল স্বপ্ন বন্য পপি হবে
অথচ একবিন্দু রক্ত
সবগুলো লাইন ছেড়ে দেবো এবং গুনে নেয়া সিলেবল –

এটি সত্যি যে ফররখজাদের কবিতায়  ভালোবাসাই ধ্রুব সত্যি । কিন্তু এর ট্রিটমেন্ট কঠোরভাবে ইন্দ্রিয়গত নয় । মূল্যবোধের সহজাত বিষয়টি এসেছে এবং গতানুগতিক ভালোবাসায় কবি তৃপ্ত নন । । সীমাবদ্ধতার শৃঙ্খলে ক্লান্ত , অথচ ব্যাকুল স্বত্তা প্রকাশের স্বতস্ফুর্ত প্রয়াসে অবিরাম দৌড়ে চলা – সেখানে কবিকে নতুন ভাবে যোগাযোগ এবং ব্যক্তিগত ভাবে পূর্বে নারীকে যে অবমাননার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সেই গন্ডি থেকে বের হয়ে এসে ফররখজাদ তার কবিতায় এসে যুক্ত করেছেন নিজেকে  স্বতন্ত্র কবিসুরের সাথে । তার ভাষা কবিতাকে বিশেষ করে আধুনিক পারসিয়ান কবিতাকে খুব বেশী সমৃদ্ধ করেছে এটা একদম বলা যাবে না তবে স্বচ্ছ সৎ ভালোবাসার সাথে আপোষ করেননি কখনো ।
------------------------------------------------------------------------------