পরমার মত সুন্দরী অথচ অসুন্দরী অথবা তার মত হ্রদয়বতী অথ্চ হৃদয়হীনা আমি কখনো দেখিনি । কিন্তু সে আমার কেউ ছিল না অথ্চ সে আমার আত্মার আত্মীয় ছিল ।
পরমাকে ভোর সকালে শিউলি ফুল কুড়াতে দেখতাম অথচ সে নীল শাড়িই কখনো পড়তো না । ওর মুখে আদ্র হাসি ছিলো ,সে ছিল মেঘের মতন , জলের মতন , বিলের মতন , নবীন শস্যের মতন ।
একদিন সে নীল খামে করে চিঠি পাঠালো সবুজের কাছে । সবুজ পরমার কাছে । আসলে ওরা দুজন দুজনের কাছে । সারা পৃথিবী ছি ছি করলো্ , অপত্য স্নেহ থেকে বঞ্চিত করলো , সে দুঃখে নীল হলো ,সবুজ হৃদয় নিয়ে পৃথিবীর স্নেহ থেকে
দূরে সরে গেলো । ।
পরমা একা রইলো , ঈশ্বরের কাছে এক পা দুপা করে এগুলো । তার হাতের রিনিঝিনি চুড়ি ঝিম ঝিম করে নাচলো , তার চোখের কাজল বাঁকা ভঙ্গিমায় আকাশের দিকে উড়তে চাইলো এবং তার নাকের নোলক ইশারা করলো একটা হলুদ পাখিকে যে ওর হাতে এসে প্রতিদিন বসতো , সবুজের চিঠি নিয়ে যেত ।
কখনো কখনো বংকিম ভঙ্গিমায় পরমার বুকের কাছে কান পেতে হৃদয়ের ধুকপুক শুনতো । সে ঈশ্বরের কাছে যাবে , তার দু হাত ভরে অঞ্জলী দেবে । হৃদয় দান করবে ঈশ্বরের পায়ে অথচ ঈশ্বরের ঠিকানা জানে নি -
পরমা আসলে নাই অথবা আছে অথবা সে একটা গভীর নদীর মোহনা ছিল অথবা ছিলনা -
পরমা আসলে একটা নক্ষত্রের নাম ছিলো -- অথবা পরমা বলে হয়তো কেউই ছিল না --