আজ হতে এক বছর পর,
আবার আসিবে ঘুরে, আসিবে বৈশাখ।
সেদিনেও কি এমন আনন্দে মুখরিত হবে তুমি?
সেদিনেও কি পড়িবে লাল পাড় সাদা শাড়ি?
সেদিনেও কি থাকবে রেশম কালো চুলে সাদা দোপাটি?
রইবে কি সেদিন দু'হাতের রেশমি চুড়ি?
জানিনা, কেন জানিনা-
শুধু ভয় হয়, বুকের গহীনে লুক্কায়িত অন্তরাত্মায়-
অনেক ভয় জমা হয়ে রয়।
তোমায় এখন একা ছাড়তে ভয় হয়,
ভয় হয় তোমাকে ছেড়ে থাকতে,
কখন কি হয়ে যায়? ভাবতেই কুঁচকে উঠে বুক-
ফিরে এসো, ফিরে এসো, ঘরেই তোমার সব সুখ।
যেখানে তোমার নেইকো কোন দাম;
যেথায় তুমি মূল্যহীন; তোমার শ্রম, ঘাম;
যেখানে তুমি পদেপদে হও লাঞ্ছিত, বঞ্চিত ;
যেথাই তোমার রিক্ত হস্ত,
ভয়ে ভয়ে কেটে যায় দিন;
সেথায় তোমার ভালোবাসা প্রতিদানহীন;
সামান্য ভুলের মাসুল যেদিন করবে বরবাদ;
জুটবে শতশত অপমান আর শুধুই অপবাদ
সেদিন কেউ বুঝবে না তোমার ব্যথা বেদনা;
কেউ তোমাকে বলবে না আর কেমন আছিস বোকা?
সেদিন সবাই তোমার চক্ষে আঙ্গুল দিয়ে বলবে-
দোষ ছিল তোমার, আর তোমার উপাদানগুলোতে।
কি এত দরকার ছিল-
লাল পাড়, সাদা শাড়ি,
হাস্নাহেনা, গোলাপের পাপড়ি?
কেন গেলে এত ভীড় মাঝে?
কি সুখ পেলে সেজেগুজে?
ফিরে এসো, ফিরে এসো, চাইনা হারাতে,
এই নীড়েই তুমি থাকো চিরকাল আমার সযত্নে।
এখানেই তোমার নব বরণ বর্ষ,
বৈসাবির যত আনন্দ -বিষাদ- হর্ষ,
আমাতেই সব খুঁজে পাবে আজ সুখের-ও বসন্তে,
আপন কাজে, আপন সাজে, আপন মনের অনন্তে।