নিশ্চুপ থাকার নেইকো সময় নেই আর!!
এখন বড় দুঃসময়;
অন্ধকারে আচ্ছন্নময়;
উৎপেতে রয় হায়েনারা ঐ আঁধার রাতের কোলঘেসে;
মুখোশদারী তাদের চেনা কঠিন বড়;
সমাজ মুখে তারা থাকে সাধুবেশে।
হঠাৎ তাদের দেখা মেলে আসল রূপে,
নখ-দন্তহীন হিংস্র মানব, বনের পশুকেও হার মানে--
খুবলে খায় তোমার শরীর; পাষাণ দেহে নৃত্য করে।
পাশবিকতায় হার মেনে,
লজ্জায়, ঘৃণায় তোমার মাঝেও খুন চাপে।
কিন্তু তুমি নারী, মা, বোন, স্ত্রী, শিকলে বাধা অবলাজাতি -
তোমার কাছে অস্ত্র নেই আছে শুধু জলের ঝাঁপি।
সেদিন তোমার কান্নার রোল কেউ শুনবে না, কেউ না -
আহাজারি, মাতম আর কেউ বুঝবে না; একটুও না।
অন্য কেউ কেন?
তুমিই তো বিশ্বাস করতে পারবে না?
প্রশ্ন জাগে ---
এও কি সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্ভব-
আজকের এই দিবালোকে আর
অন্ধকারের সন্ধ্যা রাতে,
চাঁদনী আলোর- উজ্জ্বলতায়
সবই সম্ভব - তাদের কাছে।
তাইতো আজ হার মেনে যায়-
অনু, তনু, বীণা, রীনা নাম না জানা কত শত-
মানুষ নয় তারা শুধু নারী নামের কাম্যবস্তু।
কেউ মরে যায়,কেউ বেচেঁ যায়;দগ্ধ হয় জীবনভর,
অসহায়ত্ব হাতছানি দেয়, মৃত্যুকেই তুই আপন কর।
তারপর,
কয়েকদিন হুলোস্থুল কান্ড আরো কত কি?
মানবসেবা, সমাজসেবী, সচেতনতা আরো কত কাহিনী-
কত লেখালিখি ; পত্রিকায় পাতায় পাতায় কত বাণী
পোস্টার-ব্যানার রক্তে মাখামাখি, মাত্র কয় দিন-
তারপর আবার সব শান্ত, নিশ্চুপ, নিশ্চল-
মনে হয় কিছুই ঘটেনি ; আজ থেকে কয়দিন আগে
সবছিল সমুদ্রের স্রোতের খেলা, জোয়ার-ভাটা
মুছে দিয়ে গেল সব আর্তনাদ -ব্যাথা-বেদনা।
হঠাৎ, আবার একদিন -
বাতাসে খবর আসে-
আরেকজন ধর্ষিত হয়েছে -
রাতের আঁধারে -
আবার সবাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে!
কিন্তু তারপর
আবার যেই সেই, আগে যা হয়েছিল তাই হয়।
কোলাহল, আওয়াজ - বন্দনা থেমে যায় নতুন কোন ঘটনার মাঝে।
আর এভাবেই চিরন্তন- চিরকাল
অন্যায় অবিচার টিকে থাকে-
দেশ থেকে দেশান্তরে -
যুগ থেকে যুগান্তরে
তারাও বেঁচে থাকে আয়েশ করে।
আবার সুযোগ খুঁজে - সন্ধানে থাকে নতুন আশায়,
সময় পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে, পিপাসা মেটানোর চেষ্টায়।
তবে, এটাই শেষ সময়
সতর্কতার শেষ সাইরেন।
সাবধান ; হুশিয়ার
জেগে ওঠো সবাই-
নিশ্চুপ থাকার নেইকো সময় নেই আর!!