আকাশ জুড়ে কালো পতাকা পতপত করে উড়ে
বিষণ্ণতার শোকে মহ্যমান ভোরবেলায়,
শিশির ভেজা শিউলিগুলো অনাদর-অবহেলায়
ধলিত হয় কোনো হায়েনার কর্কশ-শক্ত বুটের তলায়!
রাশভারী মানুষগুলো দুয়ারে দুয়ারে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখে
যেন ভিখ মাগে এ পাড়ায় ও পাড়ায়
অতঃপর জোর কষে লাথি মারে দরজায়
টেনে হিঁচ্ড়ে বের করে আনে নিরস্ত্র মানুষদের
যাদের নেই জীবন মরণের ভয়
তার অকুতোভয়,
তার সাহসী,
তারা জাতির সূর্য সৈনিক,
তাদের রক্তে লেখা শুধু জয়।
কিন্তু পর মুহূর্তেই,
অদম্য বিজয়ের স্বপ্নে লালিত হৃদয়-
চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় হায়েনার বুটের তলায়
বক্ষ বিদীর্ণ হয় বুলেটের আঘাতে-
তীক্ষ্ণ রক্তের ফোয়ারায় রঞ্জিত হয় সবুজ ঘাষের বুক
সেখানে ফুটে উঠে শত-সহস্র মানুষের মুখ
শহিদদের ঠোঁটের কোণে স্বাধীনতার সুখ।
আকাশ জুড়ে কালো পতাকা পতপত করে উড়ে
বিষণ্ণতার শোকে মূহ্যমান ভোরবেলায়,
শিশির ভেজা শিউলিগুলো অনাদর-অবহেলায়
দলিত হয় কোনো হায়েনার কর্কশ-শক্ত বুটের তলায়!
তারা পিশাচ, শয়তান, রক্তলোভী
হাতে রক্তের পেয়ালা
শত শিক্ষক-চিকিৎসক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকের রক্ত পিয়েও
পিয়াস মেটে না!
তাদের ক্ষুধার বলি হয়ে,
হারিয়ে গেলো বাংলার সন্তান, আমাদের গর্ব-অহংকার
অন্যায়ে যারা করেনি কভু মিথ্যা প্রভুর বশ্যতাস্বীকার।
স্মরণীয় তাঁরা, বরণীয় তাঁরা, নশ্বর ধরায় অবিনশ্বর
শ্রদ্ধার্ঘ্য ভরে স্মরি তোমাদের, তোমরা চির ভাস্বর।