সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে
মৃদু বাতাস বইছে,
ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলে যাচ্ছে
পাখিরা নীড়ে ফিরছে কেউ মনের অনন্দে
দূর আকাশে পাখা মেলে ঢেউয়ের মত উড়ে যাচ্ছে।

দূরে কোথাও তৃষার্ত কাক ডানে বামে
মাথা ঘুরিয়ে হয়তো খাবারের সন্ধান করছে।
হাঁস গুলি সারিবদ্ধ ভাবে একে বেকে
কিনারায় চলছে,আর ডাকছে।


এইতো কিছু ছেলে মেয়ে বালুমাখা গায়ে ছুটে চলছে,আকাঁবাকা পথটা পেরিয়ে।


অনেকটা দূর কাউকে দেখা যাচ্ছে ক্লান্ত শরির,ব্যস্ত সময় খুব দ্রুত পায় হেটে আসছে।

বকের সারি আকাশে খুব ধীরে উড়ছে,
একটা চিল এখনো আকাশে ট্যা,ট্যা ডেকে যাচ্ছে,

কুকিলটা মনে হয় খুব রেগে ডাকছে
যতটা শক্তি আছে সবটা শক্তি দিয়েই ডাকছে,আর দূর আকাশে বাতাসে ভেসে ভেসে ডাকছে।

কোথাও কোথাও মসজিদে আযান হচ্ছে,
এই মুহূর্তে আযানে চারদিক ভেসে মধুর্য মিশে গেছে।

এখনো আমি বাড়ি ফিরি নাই,
আমি এখনো ছুটে যাচ্ছি,আমার বাড়ি ফিরা হলেই সাথে সকলে বাড়ি ফিরবে।
অন্ধকার নেমে আসছে চারদিকে,
এতক্ষণে বাবা-মা বড় বোন কেউ
খুজঁতে চলে আসছে...
হাক বাড়িয়ে ডাকছে,সন্ধ্যা হয়েছে,
এবার বাড়ি চল।

হা সেদিন তবুও ছুটেই চলেছিলাম,
বাড়ি ফিরে আসলাম বাবা-মা কি বোনের আগেই।
সন্ধ্যা হয়েছিল,বই নিয়ে,
কখনো চাঁদের আলোতে রুপকথার
গল্প শুনেছি,রাক্ষুসির গল্প শুনেছি।


হা,সেই দিনটা ছিল একদিন আমার জীবনে।

আর আজ সন্ধার আগেই ঘরে ফিরি।
কেউ ডাকতে হয়না,
চাঁদের আলো থাকলেও আর গল্প শোনা হয়না,

এখন রাত....
চোখের অশ্রু গোনা হয়না,
দেহের মৃত্যুর রেজিষ্ট্রি রাখা হয়..
আত্মার মৃত্যুর রেজিষ্ট্রি রাখা হয়না,
কত আত্মা চোখের জলে রক্তমেখে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিরবে চলেছে না ফেরার পথে।


সেই পথ, চির অচেনা ছিল..
সেই পথ ছিল বহুদূর...
সেই পথ আজ চোখের অগোচরে
অন্তর কি হৃদয়ের চোখে চলেছে
বৃষ্টির বয়ে যাওয়া শ্রোত ধারায়।