যদি হারাও পলাশ ফোটা এই বসন্ত বেলায়-
যেমন পথিক হারায় পথের ওপাড়ে
শীতের ঘোর কুয়াশায় সফেদ ধোঁয়ার মাঝে।
যেমন হারায় দিকভ্রান্ত মরু জাহাজ
দূর মরীচিকার অতল গহ্বরে।
আমিও হারাবো জল হয়ে নদীর ঢেউ এ
অথবা লক্ষ্মী প্যাঁচা হয়ে মিশে যাবো গহীন অরণ্যে।
হতে পারি পরিযায়ী পাখির মতো
নিজ ভূমে ফেরা শেষ বেলার নিঃসঙ্গ যাত্রী।
অথবা হতে পারি মৃত পাখির মতো নিখোঁজ,
হারাতে পারি লোকচক্ষুর অন্তরালে।
বুকের মাঝে জেগে উঠা হাহাকার
প্রলয়ের চিহ্ন রেখে গেছে পৃথিবীর বুকে।
রেখে গেছে গুমোট মেঘে ভয়ংকর মূর্তি আকাশে।
লিখে গেছে বিরহী প্রেমের আলাপন
মরু প্রান্তরে বালিয়াড়ির গায়ে গায়ে।
কত শত জিজ্ঞাসা রেখে গেছে সহস্র কল্পনার কাছে।
কত শত প্রশ্ন ভেসে গেছে দীর্ঘশ্বাসের হাওয়াতে!
মাঝ সমুদ্রে ভেলায় চড়ে হিসেব কষি জীবনের।
চাওয়া পাওয়ার ব্যবধান খুঁজি
নিমগ্ন ভাবনার মাঝে।
অপ্রাপ্তির বিশাল শূন্যতা ভরে সমুদ্রের নোনা জলে।
অসহ্য বেদনায় নিষ্প্রাণ প্রেম ভাসে জলে
মৃত শুশুকের মতো।
কল্পনার মায়াবী রঙ চড়ে ধূসর বাস্তবতার পিঠে
দিনান্তে সবই হারায় নিকষ কালো আঁধারের বুকে।