এমনই এক ঘোর সন্ধ্যায় আমিও চলে যাবো
অপূর্ণতার অগুনতি আক্ষেপ
বুকের ভেতরে চাপা দিয়ে।
কি বিষাদ মন্থর রক্তক্ষরণে
দিনে দিনে ক্ষয়ে গেছে এই হৃৎপিণ্ড!
জমেছে তোমাকে ছুঁয়ে দিতে না পারার
সুতীব্র হাহাকার - অতৃপ্ত বাসনা।
বিনীত প্রার্থনার কাছে নিযুত অজুহাত ছিল
কথার পিঠে যুক্তি তর্কের ফুলঝুরিও ছিল শত!
নিশ্চুপ কত আর্তনাদ জমা হয়েছে মনের গহীনে!
অবশেষে সব চিৎকার পাহাড়ের গায়ে ঘা খেয়ে
গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে গেছে কিছুটা পাহাড় পাদদেশে!
বাকীটা ফিরে এসেছে প্রতিধ্বনি হয়ে কান্নার কাছে।
একদিন তুমিও আসবে ব্যতিব্যস্ত এই শহরের বুকে।
তিতাস নদীর কোল ঘেষা বিশাল প্রান্তরে বসে
কুয়াশার চাদর পরে প্রতিক্ষার প্রহর গুণবে।
অথবা কোন একদিন নিদারুণ ক্ষরায়
নির্জনে বসে গাইবে অসময়ী বৃষ্টির গান!
হাজারো ব্যস্ততায় হয়তো সেদিন
নিজেকে খুঁজে পাবে হেমন্তের ধানের খেতে
নিঃসঙ্গ কাকতাড়ুয়ার মতো আমৃত্যু অবকাশে।