পৃথিবীর সব রঙ শুষে নিয়ে
আমায় তুমি বর্ণান্ধ করেছো।
তুমিহীন কোন কিছুর রঙ মেলাতে
আমার এখন ভীষণ কষ্ট হয়।
জীবনের সব ডাক খোঁজ কেড়ে নিয়ে
পৃথিবীতে যত্নের এক মরূদ্যান সাজিয়েছো।
তুমিহীন এই মরুপৃথিবীর কোন কিছু
এখন আর টেনে ধরে না উটের জকির মতো।
বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর, ছায়াবীথি তল -
মরা পাতার ধূসর গালিচা হয়েছে কখন অলক্ষ্যে!
এখন জানালা খুলে অরণ্য দেখার চোখ
তৃষ্ণায় আর্তনাদ করেনা খ্যাপা শিশুর মতো।
কতদিন ধরে তোমার দুর্মর টানে
ছিড়ে গেছে কালের হাওয়ায় ভাসা নৌকার গুণ।
ভুলে গেছি লক্ষ্যহীন বিষাদের পালের কথা।
কোথায় হারিয়েছে কে কখন,
খোঁজ নেই তার কোন কিছুর।
পৃথিবীর সব মায়া পঙ্গপালের মতো ভিড় করেছে
আঁধারে মানিক জ্বলা হৃদয়ের কাছে।
ভুলে গেছি মরনের মতো অনিবার্য ভয়
বিমুগ্ধ প্রেমের স্বর্গীয় অনুভূতির কাছে।
কতকাল রাতের আকাশ না দেখা আফসোস-
স্পর্শ করে না এখন, আমার অস্থির চেতনাকে।
চাপা পড়ে আছে বাসন্তী হাওয়ায় দোলা
নিয়ত বেড়ে উঠা ছায়াতরুর নীচে।
পরিত্যক্ত পৃথিবীর আঁধারের জঞ্জাল কেটে
আমার স্বেচ্ছা নির্বাসন তোমার ঘাসের হৃদয়ে।
এখন আমার ছোট্ট পৃথিবীর স্বর্গ সুধায়
তোমায় নিয়ে হাজার বছর বাঁচার স্বাধ জাগে।
জাগতিক সব মোহ মায়া ভুলে গেছি।
পৃথিবীর পরিধি থেকে সকল বাঁধন আলগা করেছি।
সমর্পনের ডালি সাজিয়েছি প্রেমের অর্ঘ্য দিতে।
ধ্যানমগ্ন স্থির অনশন আমার-
তোমায় আপন করে পাবো, তারই মানসে।