বুকের ভেতরে অস্ফুট চিৎকার-
ভূমিষ্ট হতে তীব্র প্রসব বেদনা উষ্কে দিয়েছে।
গলার ভেতরে প্রখর বেদনা
কুন্ডলী পাকিয়ে আছে বিষধর সাপের মতো।
ইচ্ছে করছে গগনবিদারী শব্দে
ভেতরের সব যন্ত্রণা উদগীরণ করি।
লোকলাজ আমার চারপাশ ঘিরে থাকে।
সমাজ, সংসারের ভয় আমার লাগাম টেনে ধরে।
আমি এগুতে পারি না সহস্র সংস্কারের বেড়ি পায়ে পরে।
পেছাতে পারি না অবগুণ্ঠিত রহস্য ভাঙ্গার নেশায় মজে।
গভীর রাতে দিনের সব হিসেবনিকেশ কষে
সবাই যখন ঘোর নিদ্রায় নিমগ্ন,
আমার দু'চোখ তখন অন্ধকার ঘর ফুঁড়ে
জানালার শার্সি তুলে পুকুরের জলে আছড়ে পড়ে।
চাঁদের রোশনিতে রুপালী মাছের উৎসব দেখি নিঃসঙ্গ।
কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সাথে
জলের অবাধ প্রেম দেখি ল্যাম্পপোস্টের আলোয়।
আমি বৃষ্টি হতে পারি না চাইলেই!
চাইলেই পারিনা হংস মিথুন হয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াতে।
আমি মানুষ হয়ে পুণ্যের পাপ জমিয়েছি থরে থরে।
স্বাধীন হয়ে অধীনতার শেকল পরেছি পদে পদে।
তবুও ইচ্ছের ডানা মেলে ধরেছি আজ
তোমার অসীম আকাশ পানে।
তুমি সওয়ার হলেই মিলিয়ে যেতে পারি আমি
দিগন্তের ওপারে - দূর অনন্তলোকে।