শেষ বিকেলে মেঘচূর্ণ রোদ
বৃষ্টির মিহিকণায় চড়ে এসে পড়েছিল
আমার উঠোনের সবুজ গালিচার পরে।
আমি মুখ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম আকাশের বুকে।
চোখ বন্ধ করে যে তুমুল ভালোবাসার স্পর্শ পেলাম
মনে হলো শতাব্দীর অন্ধকার হতে
আমায় কেউ আগলে তুলে নিয়ে গেলো
কোন বনবকুলের গন্ধ ছড়ানো অরণ্যে।
সেদিন তোমার আঙ্গুলের স্পর্শ লেগেছিল
আমার তৃষ্ণার্ত দুই ঠোঁটে।
মৃত চোখ জোড়া জ্বলে উঠেছিল
জোনাক পোকার মতো।
মনে হলো অবেলার এই আলো যদি
অন্ধকারে ধাবমান পথে আলোড়ন তুলে গন্তব্য চেনায়
তবে তোমার জ্যোতিতে আকাশের বুকে
চিরকালের জন্য স্থির নক্ষত্র হয়ে যাবো।
নিবিড় আলিঙ্গনে তোমায় বুকের কাছে পাওয়া
পরাবাস্তব স্বপ্নের মতই অলীক সুন্দর।
তবুও প্রতি মুহূর্তে প্রেমে অপ্রেমে বাঁধা পড়ে আছি
অদৃশ্য ঘূর্ণিঝড়ের পাকে ঝিমধরা লাটিমের মতো।
এখন এই ঝিমনেশায় মজে আছে শরীরের রক্তমাংস।
নৈঃশব্দে শান্ত নদীর জলে
একাকী বেদনার ঢেউ তুলে ডুবে থাকতে পারি এখন
নিমগ্ন প্রেমের সাথে।