একদিন কুয়াশায় মাঝরাতে
ঘুম ভেঙ্গে যায় অভিমানী নিঃসঙ্গতায়।
শীতের চাদর গায়ে মেখে জবুথুবু কাকের মতো
বসে থাকি নিঃসীম আকাশের নীচে।
বিষম বেদনার হৃৎপিণ্ড খুঁড়ে
প্রেমের দীপশিখা নিস্তেজ হয়
নিঃশব্দে সলতে পুড়িয়ে পুড়িয়ে।
নিভে যায় একে একে সব আলো
নিভে জীবনের সকল দেউটি ধীরে ধীরে।
তারপর পড়ে থাকে কতো শত স্মৃতিকথা।
হারায় শান্তির বাণী অসীমের পথে ডানা মেলে।
বিষাদের কাজল মেখে
দূর নীলিমার জমিন হয় কালো-
আঁচলে নামে গহীন ঘন অন্ধকার।
শ্রাবণের আকাশের মতো
প্রিয় হৃদয়ের রঙ বদলায় সকাল সন্ধ্যায়।
আমি নির্বাক নিঃশব্দ চেয়ে থাকি
গায়ে মেখে নিতে চাই যুগের হাওয়া।
তবুও শিকারী বাজের হৃদয়ভেদী চিৎকারে
মন হারিয়ে যায় অতলান্ত জলের গহীনে।
শরীর পাশ কেটে যায় সকল পঙ্কিলতা
যেন আজন্ম বিরোধ আকাশ আর মাটিতে।
অতঃপর কোন এক সন্ধ্যার ভরা অন্ধকার পরে
আবার যখন নিঝুম রাত্রি নেমে আসে
আমার ঘরের বারান্দায়-
আমি অন্ধকারের গায়ে নিস্তব্ধতা নিয়ে চেয়ে থাকি
যদি কেউ জ্বেলে দিয়ে যায় মিটিমিটি আশার প্রদীপ!
যদি প্রিয় নাম ধরে ডাক দিয়ে যায় প্রিয় কোন কণ্ঠ!
যদি আঁধার ঠেলে ঠেলে অকস্মাৎ জ্বলে উঠে অলীক পূর্ণিমার চাঁদ!
হয়তো তখন পালিয়ে যাবে নিরাশার আঁধার
জানালার শার্সি গলে আসা মৃদু আলোয় নাচবে
তৃষিত চোখের তারা।
নীল চোখে বিষাদের পাল ছিড়ে যাবে
অন্ধকার ফুঁড়ে পুব আকাশে আলোর মিছিল নামবে।
নদীর ধারে ছায়াদার গাছের নীচে
আবার সেই আগের মতোই জমে উঠবে খেলা।
শৈশবের উল্লাসে মেতে উঠবে আবারও
এই পৃথিবীর আনন্দ মেলা।