নিপাট আঁধারের মতো হৃদয়ের বন্ধন নিবিড় হলে
ভালোবাসা জলজ হয় চোখের সরোবরে।
স্বর্গীয় আগামীর আগমনী বার্তা দিয়ে
সময় হারায় কেবল দিন মাস বছরের নামতা ধরে।
এমন এক সাঁঝ বেলায় ঘরে ফেরার পথে
আচমকাই তোমাকে পেয়েছিলাম
আমার এক জনমের তপস্যা শেষে।
তুমি এলে ধুমকেতুর রহস্য নিয়ে।
শিশির থেকে স্বর্গসুখ কুড়িয়ে নিতে
দু'চোখে রাত্রি জাগরণ নিয়ে
তুমি মিশে ছিলে ঘাসের হৃদয়ে।
ভোর বেলায় হিমপতনের দৃশ্য দেখা হয়নি আমার!
প্রথম আলোয় পাখিদের ব্যস্ততাও দেখিনি আগে।
বর্ষার এতো রুপ লাবন্য কে দেখেছে কোন কালে!
পৃথিবীর মিলন মেলায় আমাদের বিনিদ্র আলাপনে
সব ঋতু মিলেমিশে হয়েছে এক মিলন-ঋতু।
প্রার্থনা ছিল এক সুনীল আকাশের।
নিস্তব্ধতার ঘোরে আর্তি ছিল কিছু নির্মল বাতাসের।
মরীচিকা সুখের তপস্যা ছিল উর্ধ্বাকাশের কাছে।
মুক্তির নেশা ছিল আমার মনে, মগজে।
হৃদয়ে জমে থাকা শিশিরের উৎস চিনিনি আমি!
পরম মমতায় ধীরে ধীরে চিনিয়েছো তার ধারা।
মিলনের শৈশব কৈশোর পেড়িয়ে
নীল আকাশের সামিয়ানায়
আজ আমাদের যুগলবন্ধন।
জীবনের সব নেশা স্তুপিকৃত এই বসন্তবাগানে।
জাগতিক সব মোহ মায়া ভুলে গিয়ে
এখানেই শান্তির নিবাস গড়েছি আমরা তিলে তিলে।
খুঁজে পেয়েছি একে অন্যকে-
কচি ঘাসের শয্যায়, পাতায় বোনা বাসরে।