অকালবোধন হলো অসময়ে অবশেষে!
দর্পণে আজ অচেনা নিয়তি!
আজন্ম চেনা ভ্রু কুঁচকে আছে
নিয়তির নিয়তি দেখে!
চোখের স্বচ্ছ জলে ঢেউ লাগা তরঙ্গ!
বুকের জমিনে চৈত্রের আলপনা!
কচি ধানের পোড়া শিষে আগুনে ঘ্রাণ!
মধ্যরাতে পুড়ে যায় জমি'র বায়নাপত্র!
এখানেই শেষ! আর বাড়বে না এক ইঞ্চি জমি।
অথচ আফসোস জাগে মনে-
আরো প্রেম, আরো ভালোবাসা
বাকী রয়ে গেলো বুকের গহীনে!
ঝিম ধরা স্তব্ধ মধ্যরাত হানা দেয় ঘরে!
ঘরের মাটি খুঁড়ে আঁধার বের করে আনে
মৃত জোনাকির লাশ!
আলো নেই, অন্ধকারে নিথর পরে থাকা দেহ!
বন্ধ চোখের মনিতে ভাসে
দূর আকাশে আঙুলের তুলিতে আঁকা
প্রিয়তমার চাঁদমুখ।
বাড়ীর উঠোনে নীল শাড়ি পাতা।
ওখানে জোছনার নকশি করা
মিহি সেলাই দেখি জানালার শার্সি টেনে।
অতীতের সুখ জহরতে জ্বলা
মাটির দীপালির মৃদু আলোয়
দুই চোখে মায়াবী রাত নামে!
ঘরময় আতর আর আগরবাতির ঘ্রাণ!
অতঃপর ভোর আসে -
আর একটা অপঘাত মৃত্যুর খোঁজে!