যদি হারাই চিরতরে - অভিযোগ, অভিমানে!
হারাই পিছু ফেরার সব পথ বন্ধ করে!
মেনে নিও, মনে নিও না কোন কিছু।
পরিযায়ী পাখি হবো, ভুলে যাবো জন্মের ঠিকানা
ওখানে উপেক্ষা আর সন্দেহ বড় হতো পদে পদে।
যে মোহজালে জড়িয়েছিলে সময় করে নিজেকে
সময়ের ঘূর্ণিতেই ছিড়ে যাবে সে জালের বাঁধন।
মুক্তি পাবে বন্দী পাখি বিষাদের বলয় হতে।
তুমি হবে নীল নভোমণ্ডলের উড়ন্ত ফানুস
আমি হবো ফসলের মাঠে নিঃসঙ্গ কাকতাড়ুয়া
তুমি ভাসবে লক্ষ চোখের তারার আলোয়
আমি বড়জোর হতে পারি সেদিনের শেষ রাত্রির মলয়।
আমাদের ব্যবধান ঘোচেনি আমাদের এই জন্মে
আক্ষেপ ছিল, একই শহর, তবুও দূরত্ব বিস্তর!
এবার তবে হয়েই গেলো দূরত্বের নয়া সমীকরণ।
তোমার অসময়ী নিরুদ্দেশ হওয়া বুঝিয়ে গেলো
বড় সময় করেই চলে গেলে নিখুঁত হিসেব কষে
অভিযোগের ছোট্ট একটা চিরকুট হাতে তুলে।
যেখানে নিজেই দাঁড়ানোর সুযোগ পাইনি নিজের পাশে।
অতৃপ্ত প্রেম আমার! স্পর্শে পেলো না মহা মিলনের স্বাদ!
পেয়েছি এক দণ্ড সুখ অঢেল অসুখের বিনিময়ে।
অসংখ্য ক্ষত আর ক্ষতি বরণ করে নিয়েছি,
সময়ের বাঁকে বাঁকে সময়কে পরিপাটি করে তুলেছি
ভালোবাসাহীন এই জীবনের ক্লান্তি ঘোচাতে।
যদি আর না আসি
তাই রেখে গেলাম দুয়ারের কাছে আমার অতীত ভবিষ্যৎ।
যদি মনে পড়ে কোনদিন আমাদের টুকরো কোন প্রেমগাঁথা
যদি কোনদিন আনমনা করে আমাদের কোন স্মৃতিকথা
তবে হাতে তুলে নিও বিষাদের এই স্বরলিপি।
যদি ঘুমের ঘোরে জানতে চাও কখনো কেমন আছি আমি
তবে খোঁজ নিতে পারো আগামদ্রষ্টা পাখিদের কাছে।
জানবে এখনো আমি সেই আগের মতোই আছি
এখনো আমি ঠিক আগের মতোই ভালোবাসি।