যে পথে চোখ রেখেছো দূর পিয়াসী হয়ে
জানি সে পথে পুষ্পমাল্য নেই,
নেই লাল গালিচা, নেই কোন তোরণ।
পদে পদে আছে ছোপ ছোপ রক্তের দাঁগ,
আছে দীর্ঘশ্বাস, আছে কান্না, আছে ঘেন্না,
আছে দগদগে স্মৃতির ঘা।
কোথায় পালাবে নিজেকে মাড়িয়ে?
কোথায় হারাবে নিজের অস্তিত্ব ভুলে?
কিভাবে ছাড়াবে ছায়া নিজের শরীর থেকে?
যে জন্মের নিশান গেড়েছিলে আপন ভূবনে
সে জন্মের আশীর্বাদ কি করে মুছবে ললাট থেকে?
মধ্যরাতের দীর্ঘ দুঃস্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় প্রেম।
বিকট শব্দরা ঝনঝনিয়ে পড়ে হৃদয়ের জমিনে।
আমি অন্ধকারে অনুভব করি
আমার হাতের উপরে রাখা হাতটি নেই।
আমার মুখের সামনে রাখা মুখটি আবছায়ায় ঢাকা।
সেই চিরচেনা সুরভিত বাতাসে কেমন গুমোট ঘ্রাণ।
মনের ব্যাধি জড়ো হয়েছে শরীরে দ্বিগুণ হারে।
তোমাকে কি স্পর্শ করেনি সেই মনের মন্বন্তর?
তুমিও কি পাওনি জীবন্মৃত মানুষের ঘ্রাণ?
পাওনি পোড়া হৃদয়ের গন্ধ?
দেখোনি দূর ঈশান কোণে মিলিয়ে যেতে
প্রেমের বেহেশতী সৌরভ?
গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো পুস্পপ্রেম হাত-
গুটিয়ে নিয়েছো জানিনা কোন মন্ত্রণায়!
প্রবল ঘূর্ণির মাঝেও নিস্পন্দ প্রাণ!
ভালোবাসাহীন মরু হৃদয়ে উঠেছে ধুলোঝর।
তোমার উঠোনও জানি আজ ছেয়ে গেছে ধুলোয়।
চলো ঘরে ফিরি অনিশ্চিত যাত্রা ভুলে
অভিমানী অনশন ভাঙ্গি হাতে হাত চেপে।
চোরাবালির ফাঁদ ঢেকে দেই নতুন স্বপ্নজালে।
চলো ভুলের বাগানে ফুলের বীজ বুনি,
সবুজ ফলাই পৃথিবীর সব অনাবাদি জমিনে।