রোদ ঝলমলে বিস্তীর্ণ প্রান্তর -
সরু পথ, ছায়াবীথি মাড়িয়ে
মিশে গেছে দূর দিগন্তে মরীচিকা মায়ার সাথে।
আদিগন্ত পথ আমার, আছে পথ চলা।
তোমার কাননে অগুনতি পথ এসে
তোমার আঁচল স্পর্শ করে আছে।
আকন্ঠ ক্লান্তিতে, পদযুগল হারায় কৌমার্য।
ধেয়ে চলে বুঝে নিতে অধিকারের সম্বল।
কোন পথ ধরে হেঁটে পাবো তোমার দেখা!
কোন পথে খুঁজে পাবো কল্পলোকের হিয়া!
রহস্যের জটে আগল লাগে ক্ষণে ক্ষণে!
দহনের কাছে কখনো নুয়ে আসে প্রবল আকাঙ্ক্ষা।
পৃথিবীর বুকে রাত নামে ঘন কুয়াশা চিরে।
মনের গহীনে অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো বিনিদ্র রাত জাগে!
ঘুম আসে না, অতন্দ্র প্রহরী আমার একলা শহরে।
আমার পোড়া রাতের ঝাঁঝালো ঘ্রাণ
তোমার রুদ্ধদ্বারে করাঘাত করেনি আজও!
আমার যাত্রা শুরু হয় ফের গতকালের শেষ থেকে।
তমসায় হিমেল আলিঙ্গনে অসাড় দেহ
ছুটে চলে রানারের মতো ঊর্ধ্বশ্বাসে।
বুকের ভেতরে কখনো গর্জে উঠে চাপা ইতিহাস!
খ্যাপা সেকাল চড়ে একালের পিঠে!
হয়তো দেখা হবে আমাদের নিঃশব্দে
কার্তিকের শেষে কোন এক হিমেল রাতে।
অথবা ভরা পূর্ণিমায় জোছনায় অবগাহনে।
দেখা হতে পারে চিলেকোঠায় কোন অলস দুপুরে।
দেখা হলে ভীষণ ইচ্ছে আছে -
একটা চোখ রেখে যাবো তোমার চোখের কোলে।
দেখবে এ চোখ কি ভীষণ আবেগী মায়ায়
কিভাবে স্পর্শ করে আছে তোমার সব কিছু।
একটা হৃদয় রেখে যাবো তোমার হৃদয়ের কাছে।
অহর্নিশ অদেখার অনলে কিভাবে ভস্ম হয় মন
কিভাবে জীবন বাঁচে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে
চোখ বন্ধ করে ভাবলেই ভীষণ অনুভব করবে।
একটা অভিমানী আক্ষেপ রেখে যাবো
তোমার ওষ্ঠ আর অধরের মাঝে।
মুখ চেপে দেখবে, কিভাবে হারায় মানুষ
নগ্ন অভিলাষে নিজেদের খুঁজে পেতে!
একটা মিনতি রেখে যাবো তাম্রলিপিতে।
এটে দিয়ে যাবো তোমার ঘরের পালায়
ঘুম থেকে উঠে ভ্রু কুচকেই দেখতে পাবে -
"আমাদের দেখা হোক এক পলক,
এক মৃত্যুর বিনিময়ে"