মা যে সবার ঘরের লক্ষী দ্বিধা নেই তো কোনো
আজকে মায়ের আচল নিয়ে কাব্য বলি শোনো।
শিশুকালে রাতে যখন হিসু করে দিতাম
পরম যত্নে মায়ের আচল ভেজা স্থানে পেতাম।
দুপুরবেলায় মা যখনই গোসল করাতে নিতেন
মায়ের আচল দিয়ে তখন গা মুছিয়ে দিতেন।
কোনো কিছু কিনে দিতে বায়না যখন ধরি
আচল দিয়ে চোখ মুছিয়ে বলতো বাবা স্যরি!
তপ্ত রোদে মায়ের সাথে যখন কোথাও যাই
ছাতার মতো ছায়া সেতো মায়ের আচলে পাই।
স্কুলে যাওয়ার সময় টাকা চাই যখন
মায়ের আচল গিট খুলে পাঁচ টাকা পাই তখন।
সন্তান যখন বড় হয়ে অফিস থেকে আসে
আচল দিয়ে মুখ মুছিয়ে মা পাশে বসে।
এখন মায়ের ছেঁড়া আচল দেখার তো নেই কেউ
ছেলে এখন ভুলে গেছে সব ঘরে এনে বউ!!